পুলিশের বিরুদ্ধে বিতর্কীত বক্তব্য দিয়ে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। এরপর থেকেই জেলা ছাত্রদল এখন কান্ডারীবিহীন রয়েছে। সব ধরনের কর্মকান্ডে ভাটা পড়েছে। ফলে জেলা ছাত্রদলকে গতিশীল করতে সভাপতির শূণ্যপদ পূরণ করা জরুরী বলে মনে করছেন ছাত্রদলের তৃনমূল।
তবে এই শূণ্য পদে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মানিককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করার দাবি উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে দাবি তুলেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সূত্রমতে, পুলিশের পোষাক খুলে নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আলোচনায় আসেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি। এই বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। রাজধানী থেকে গেপ্তার হয়ে বর্তমাণে কারাগারে রয়েছে মশিউর রহমান রনি।
রনি গ্রেফতারের পর জেলা ছাত্রদল অভিভাবকহীন হয়ে পারে। ফলে জেলা ছাত্রদলের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যাবত হয়। এদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতির শূণ্যপদ পূরনের দাবি উঠেছে ছাত্রদলের তৃনমূল থেকে। সংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী সভাপতির অনপুস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হবে সিনিয়র সহ-সভাপতি।
কিন্তু সম্প্রতি সময়ে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল্লাহ লিটন আড়াইহাজার পৌর যুবদলের আহবায়ক হয়েছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী সহ-সভাপতিই হবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। আর এই পদে রয়েছে আরিফুর রহমান মানিক।
জেলা ছাত্রদলের তৃনমূলের দাবি সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মানিককে জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে জেলা ছাত্রদলকে নতুন করে গতিশীল করার হোক। আরিফুর রহমান মানিককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করার দাবি বেশ কয়েকদিন ধরে ছাত্রদলের তৃনমূল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জোর দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মানিক জানান, তৃনমূল চাইলে এবং দল আমাকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব দিলে আমি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক।
উল্লেখ্য, পুলিশের পোষাক খুলে নেয়ার হুমকীর অভিযোগে গত ২১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে গ্রেফতার করা হয়।