নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা সাংস্কৃতিক জোটের একটি ব্যানার নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
ব্যানারটি টানানোর কয়েক ঘন্টার মাথায় প্রশাসনের চাপে সেটিতে লেখা স্লোগান কালো কাপড়ে ঢেকে দেয় সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলা হয়, আপত্তির স্লোগান লেখায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার শঙ্কায় সেটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
একুশের উচ্চারণ, দূর হ দুঃশাসন’ এই স্লোগানটি লেখা ব্যানারটিতে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই জেলা সাংস্কৃতিক জোটের এমন ব্যানার টানানো ছিল নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বিকালের পর বিষয়টি অনেকের নজরে এলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা ঝড়।
অনেকইে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, অমর একুশে বাঙালির গৌরব। সেখানে এমন স্লোগান দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়াটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। একপর্যায়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি দল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সাংস্কৃতিক জোটের নেতাদের ব্যানারটি নামিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে ব্যানার নামাবেন না বলে তারা পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হলে ব্যানারের স্লোগানটি কালো কাপড়ে ঢেকে দেন সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী সঙ্কর রায় বলেন, দুঃশাসন শব্দটিতে প্রশাসনের এতো এলার্জি কেন। কারণ তারা এই দুঃশাসনের সম্মুখ ভাগের সৈনিক, নতুবা তারা কেন এই স্লোগানটিকে নিজেদের গায়ে লাগাবেন। আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক, আমি দুঃশাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে যা খুশি বলতে পারি। আমি মনে করি এই জঘন্য কাজের মধ্য দিয়ে তারা এই ভাষা দিবসের মাসে আমাদের বাক-স্বাধীনতাকে হরণ করেছে।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহীন মাহামুদ গণমাধ্যমকে জানান, আমরা ব্যানারে দুঃশাসন লিখে কোন ভুল করিনি। কারণ আমরা এখনও ত্বকী হত্যার বিচার পাইনি। ব্যানার সরিয়ে ফেলতে চাপ প্রয়োগ করায় আমরা প্রতিবাদ স্বরুপ সেখানে কালো কাপড় টানিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, ব্যানারে দুঃশাসন লেখায় সেটি পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল। পরে তারা সেটি ঢেকে দিয়েছেন। তবে কোন চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।