দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা অফিসে হামলার ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হলে শুনানী শেষে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ মোহসেন এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্র্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে আদালতে গ্রেপ্তারকৃতদের ছবি তোলার সময় পুলিশ হেফাজত থেকেই আসামীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
পত্রিকা অফিসে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৮ জন হলো, শ্যামল সাহা লক্ষণ, কৃষ্ণা ওরফে কৃষ্ণ পাল, মোঃ নাসির হোসেন, মোঃ ইব্রাহিম, লিটন দাস, মো. ফয়সাল, মো. হাসিব ও বিল্লাল হোসেন।
এর আগে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ‘দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জাবেদ আহমেদ জুয়েল।
বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও আজিজ আল মামুন শুনানীতে অংশ নেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামান বলেন, ‘পত্রিকার সম্পাদক জাবেদ আহমেদ জুয়েল বাদী হয়ে ১৯জনের নাম উল্লেখ ও ৩০ থেকে ৪০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অফিসে হামলা, ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি ও দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করা হয়েছে।’
মামলায় আসামিরা হলেন নাসির (৩৫), আক্তার নূর (৪৫), রবিন (২৯), রাতুল (২৫), মনির (২৮), শ্যামল সাহা লক্ষণ (২৬), কৃষ্ণা সাহা (২৬), মুকিত (২৯), মো. নাসির হোসেন (৩১), শাকিল (৩০), সুমন (৩১), সানি (৩২), সনেট (২৭), আন্নান (২৯), কাজল (৩২), রুবেল (২৭), সিনাফী (৩১), ফারুক (৩৫), ইসমাইল (৩১)।
উল্লেখ্য গত শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ’ অফিসের নিচে অর্র্ধশতাধিক সন্ত্রাসী হামলা চালায়, ভাংচুর করে এবং সম্পাদককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যা মামলা নিয়ে গত ১১ ফেব্রæয়ারী একটি সংবাদ প্রকাশ হয় পত্রিকাটিতে। সেখানে র্যাবের প্রস্তুত করা একটি খসড়া চার্জশীট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটিতে আজমেরী ওসমানের নাম উল্লেখ করা হয়। এ কারণেই এই হামলা হয়েছে বলে পত্রিকার সম্পাদক জাভেদ আহমেদ জুয়েল দাবি করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকী হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। যা র্যাবের প্রাক প্রস্তুত চার্জশীটে উল্লেখ ছিল।