নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়নগঞ্জ ফতুল্লার পঞ্চবটি,এনওসিএস, শীতলক্ষ্যায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড -এর সহকারী প্রকৌশলি গোলাম মোরশেদের নেতৃত্বে অপকর্ম চলছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
অভিযোগে প্রকাশ, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করার বদলে জিম্মি করে অবৈধভাবে রাতারাতি আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গোলাম মোরশেদের টেবিলে গ্রাহকদের নতুন লাইন সংযোগের ফাইল প্রতি গুনতে হয় টাকা। এছাড়াও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের লাইন কাটার হুমকির ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
তথ্য সূত্রে জানাযায়, নিয়ম অনুযায়ী কিলো প্রতি সরকারি মূল্য ১২০০/-টাকা ধার্য্য করা থাকলেও অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বর্ধিত হারে ১৮০০/-টাকা নিচ্ছে । শুধু তাই নয় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ আবেদন করলে অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রতিটি ফাইলে ৩০০০/-টাকা প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করে নিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে গিয়ে মিটার চেক করার নাম করে মিটারের বিভিন্ন ক্রটি দেখিয়ে জরিমানা করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে থাকেন বলে জানান ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এ সব অবৈধ সকল কিছুর মুলে চাবিকাঠি নাড়ছেন বলে অনেকের অভিযোগ সহকারি প্রকৌশলী গোলাম মোরশেদ।
অনেকের অভিমত গোলাম মোরশেদ গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী এই সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খোজ নিয়ে যানা যায় ইতিমধ্যে নাছিমা বেগম নামে এক গ্রাহকের মিটার পরিদর্শনের নামে হাতিয়ে নেয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। যার গ্রাহক নং ৩৬১৩৬২৩৫। ৩৬১৪২১৭৪ ও ৩৬১৪২১৮৯ নং গ্রাহকের কাছ থেকে লাইন কেটার নাটক সাজিয়ে নিয়েছেন দেড় লাখ টাকা। এছাড়াও ১৪৩১০৮৮৯ ও ১৪৩১৪৪২১ নং গ্রাহক মাসুদ গাজী এবং সাইফুল ইসলাম এর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় গোলাম মোরশেদ। তাঁর সকল অপকর্মের সহযোগী হিসেবে ভুমিকা রাখছে তাঁর পিয়ন।
অন্যদিকে মিটার রিডার ম্যান নিয়োগে ক্ষেত্রে তিনি নাকি করেছেন সীমাহীন দূর্নীতি।
এব্যাপারে কতিপয় অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে জানতে চাইলে কোন সদউত্তর দিতে পারেন নাই। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।