নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবািহনীর সংঘর্ষ, যানবাহন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে নতুন করে আরও ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাইনবোর্ড এলাকার মিতালি মার্কেট কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ নিয়ে মামলার সংখ্যা দাড়ালো ৩১। এসকল মামলায় বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) পর্যন্ত পুলিশ আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৮ জনে।
এদিকে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে, সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিরপরাধ মানুষও রয়েছে। তাদের আটকের পর নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আবার দেনদরবারের পর কেউ কেউ ছাড়া পাচ্ছে কাউকে কাউকে আবার ৫৪ ধারায় চালান করা হচ্ছে। মানে যে সকল থানায় নাশকতার মামলা হয়েছে সে থানাগুলোতে আটক বাণিজ্য হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে আসামিরা চাষাঢ়া মোড়, ২নং রেলগেট, সদর থানা, ফতুল্লা থানার জালকুড়ি, ভূঁইগড়, সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল, চিটাগাং রোড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি অফিস সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ পিবিআইএ অফিসেও তারা হামলা করে। এছাড়াও কাঁচপুর মেঘনা টোল প্লাজা, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
সেই সাথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এসবি গার্মেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সাইনবোর্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্স, বন্দর ধামগড় ফাঁড়ি, জালকুড়ি শীতল বাস ডিপো পুড়িয়ে দেয়। শিমরাইল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এক পর্যায়ে গত ২১ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারীদের অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম-অপারেশন) চাইলাউ মারমা জানান, ৩১ জুলাই হতে ০১ আগষ্ট জুলাই পর্যন্ত নতুন করে এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নতুন করে আরও একটি মামলা হয়েছে।