নরসিংদীতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের হাতে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ধরা পড়লেন তিন যুবক।
শনিবার (১০ জুলাই) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়।
আটক তিন ব্যক্তি হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুরু মিয়ার ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩২), আশুগঞ্জ উপজেলার হরিয়ালা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০) ও একই উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে প্রাইভেট কারচালক জুলহাস মিয়া (৩২)। জব্দ হওয়া প্রাইভেটকারের নম্বর ঢাকা মেট্রো খ ১৩-১৬৫২।
শিক্ষার্থী ও আনসার সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো স্কুল-কলেজ পড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর সাহেপ্রতাপ মোড়ে ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশেই অবস্থান করছিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরা। এ সময় একটি প্রাইভেটকার ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। এর চালক ও দুই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা গাড়িটি তল্লাশী করে প্রাইভেটকারে থাকা দুইটি ব্যাগ থেকে এসব টাকা জব্দ করে। এসময় পাশে থাকা আনসার সদস্যদের ডেকে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রাইভেটকারের যাত্রীদের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
এরপর বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে একদল সেনাসদস্য গিয়ে টাকা ও গাড়িসহ তিন জনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারার অভির উপস্থিতিতে এসব টাকা গণনা করা হয়। গণনা শেষে দেখা যায় ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে সেখানে।
আনসার ভিডিটির নরসিংদী জেলা কমান্ড্যান্ট এডজুটেন্ট মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ জনকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আটক করেছে। টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এসব টাকা জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আটক তিন জনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।