রেলওয়ে কর্তৃক বন্দরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা প্রসস্থ করণের কাজ শুরু করেছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ভাঙ্গা গড়ার ফলে রেলওয়ের দু’পাশে গড়ে তোলা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিনিয়তই চরম খেসারত দিতে হয়।
গত সোমবার রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের একজন নাজির মিয়া অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেট অফিসার বরাবরই পতিত জমি নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে থাকে।
আজ একজনকে লীজ দেয় কাল অন্যজনকে লীজ দেয় এভাবে একই জমি একাধিক ব্যক্তিকে লীজ দিয়ে তারা আর্থিক ফায়দা লুটে থাকে। এরপর উচ্ছেদ অভিযানের নাটকতো আছেই।
মাসে মাসে তারা মোটা অংকের মাসোহারা নেয়ার পরও নানা অজুহাত দাঁড় করে বিনা নোটিশে এসব দোকান-পাট বিনা কারণে উচ্ছেদ করে থাকে। উচ্ছেদের পর পরই তারা নতুন করে লীজের নামে মোটা অংকের সালামী নিয়ে পূণরায় লীজ দেয়।
এদিকে গত সোমবার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজারের সাহায্যে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী ক্ষোভের সাথে জানান, এ সকল স্থাপনার জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল।
মামলায় বাদী ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাজির মিয়া। দে/মোকদ্দমা নং-৭১/২৩ তারিখ ১৪/৩/২৩। তিনি তার আর্জিতে এ জমির লীজকৃত এক মালিক সোহেল তার লীজ নং ৫৩৮৯ ও রেলওয়ের ডিপুটি কমিশনার শফিউদ্দিনকে বিবাদী করেন।
তিনি আর্জিতে আরো উল্লেখ করেন, মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের রাস্তা ৮২ ফুট চওড়া হলে ভাল হয়। তার ইচ্ছাই পূরন হলো বলে আক্ষেপ করেন একাধিক ব্যবসায়ী।
বাদী আর্জিতে উল্লেখ করেন, রাস্তার পূর্ব পাশে ও পশ্চিম পাশে সরকারি জায়গা। যদি সরকারের নিতে হয় তবে উভয় পাশ থেকে নিতে হবে।
লীজকৃত মালিক সোহেল জানান, আমি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। যারা বৈধ লীজপ্রাপ্ত ও লীজের খাজনা, আয়কর এবং ভ্যাট দিয়ে যাচ্ছেন তাদের যার যার প্রাপ্ত অনুযায়ী সরকার বুঝিয়ে দেয়।
এছাড়া বৈধ লীজপ্রাপ্ত ভুমিতে যেন কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।