পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের মুখে স্থায়ী হাঁসি দেখতে চান। একারণে তিনি হাওরে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে আর হাওরের মানুষের কান্না দেখতে না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি বাংলাদেশী খাদ্য বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। দেশের কৃষিকে হাওরের মানুষের অনেক অবদান রয়েছেন। তিনি হাওরের মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য কাজ করছেন।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে নদীভাঙন রক্ষায় বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও সারাদেশে নদীভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী বাঁধ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট বিভাগের জন্য করণীয় সকল কিছুই করে চলছেন।
তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ভাঙনের যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদেরকে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাধেঁর কাজের ব্যাপারে অনিয়ম করলেও কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবেন। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ীত হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশীদ, প্রধান প্রকৌশলী এস.এম শহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।