বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় সাফল্য পাকিস্তানে পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মতো এত বড় অর্জন তার নেতৃতেই পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার মিশন ভারত। সেখানে প্রথমে দুটি টেস্ট, এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।
সফরের জন্য রোববার দুপুরে চেন্নাইয়ের ফ্লাইট ধরে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে শান্ত বলে গেলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের জন্য খেলব।’ টাইগার অধিনায়কের এমন একটা কথাতেই পালটে গিয়েছিল পাকিস্তান সফরে দলের শরীরী ভাষা। ওই সফরের আগে তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন ইতিহাস বদলে দেওয়ার বার্তা। মাঠের ক্রিকেটেও তা করে দেখিয়েছে টাইগাররা। এবারের ভারত যাত্রাও তাই দারুণ কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে। প্রতিবেশী দেশটি টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে বড় একটা জায়গাজুড়ে আছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ২০০০ সালের নভেম্বরে টেস্ট আঙিনায় পা রেখেছিল টিম বাংলাদেশ। সেই থেকে এ পর্যন্ত ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে দুই প্রতিবেশীর দেখা হয়েছে ১৩ বার, তাতে ভারতের ১১ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের প্রাপ্তি দুটি ড্র, সেটাও আবার বৃষ্টির কল্যাণে।
বাংলাদেশ-ভারত লড়াইয়ে তাই বরাবরই ফেবারিট ভারত। তবে পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশ দল নিয়ে ধারণা বদলাতে হয়েছে ভারতীয়দের। স্বাগতিক দলের অন্যতম স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেমনটা বলেছেন-এই বাংলাদেশকে সমীহ করতেই হবে। এই সিরজিটা (টেস্ট) যে ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে সেটি বলেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। দেশ ছাড়ার আগে শান্ত অবশ্য নিজেদের চ্যালেঞ্জের কথাই বললেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হতে যাচ্ছে। তবে একটা ভালো সিরিজের পর অবশ্যই একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দলের ভেতর আছে, দেশের মানুষের মধ্যে আছে। প্রত্যেক সিরিজই একটা সুযোগ। আমরা ভারতের বিপক্ষে দুটো টেস্টই জেতার জন্য খেলব।’
পাকিস্তানে সিরিজ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু করতে হবে। দারুণ কিছু বলতে জয়, যা পেতে হলে মাঠে নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে করতে হবে বলেও মনে করছেন শান্ত, ‘জেতার জন্য যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো আমাদের লক্ষ্যই থাকবে কাজটা ঠিকঠাক করতে পারছি কি না। আমাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারলে ভালো ফল সম্ভব।’
ভালো ফল পেতে নেতৃত্বের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালনের পাশাপাশি ব্যাটারের ভূমিকাতেও সফল হতে হবে শান্তকে। পাকিস্তানে দুই টেস্টের কোনোটিতেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই বাঁহাতি। তাই ছন্দে ফেরার ব্যক্তিগত লক্ষ্যও থাকবে শান্তর। টাইগার অধিনায়ক অবশ্য দলের জয়টাকেই উল্লেখ করলেন ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসেবে, ‘আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য বাংলাদেশ দল জিতুক। তবে আমার ইচ্ছা ব্যাটার হিসেবে যেন দলে অবদান রাখতে পারি। ওটার জন্য যেরকম প্রস্তুতির দরকার ছিল আমি নিতে পেরেছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন অবদান রাখতে পারি।’