শরীয়তপুর পৌর এলাকায় দখল-দূষণে বিপর্যস্ত রাজগঞ্জ খালটি উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার এমন উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। খালটি সচল হলে মশা-মাছির উপদ্রব থেকে মুক্তি সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে সুফল পাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মার শাখানদী কীর্তিনাশা থেকে শুরু হয়ে ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাজগঞ্জ খালটি। একসময় পানি প্রবাহ সচল থাকায় খালটি দিয়ে চলাচল করতো বিভিন্ন নৌযান। তবে দীর্ঘ এক যুগ ধরে দখল আর দূষণে অস্তিত্ব হারিয়েছে খালটি। খালটির বিভিন্ন অংশে দোকানপাট নির্মাণ ও বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে মশা-মাছির উৎপাত বেড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌরবাসী। পাশাপাশি শহরের পানি খালে নামতে না পেরে বর্ষাকালে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে খালটির প্রবাহ ফেরানোর কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সালাম বেপারী বলেন, প্রশাসন একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। পলিথিন জমে খালটি এখন দূষণে পরিপূর্ণ। পানি সরতে না পারায় তীব্র দুর্গন্ধে মশা মাছির উপদ্রব দেখা দিয়েছে। খালটি সচল হলে পানি প্রবাহ শুরু হবে এবং পরিবেশ সুন্দর হয়ে উঠবে।
নাদিম নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই খাল দিয়ে এক সময় নৌকা চলাচল করতো। এখন দূষণের কারণে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। ডেঙ্গুর মতো বিভিন্ন রোগ ছড়াচ্ছে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই দ্রুত খালটি সচল করা হোক।
শরীয়তপুর পৌরসভা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিংকি সাহা বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভায় যে খালগুলো প্রবাহমান ছিল বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো পুনরায় আমরা সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আজ থেকে রাজগঞ্জ খালটি খনন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যা কীর্তিনাশা নদীতে কানেক্ট করবে। খালটি সচল করতে গিয়ে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা পড়লে তা অপসারণ করা হবে।