“আমরা আগেই বলেছিলাম আমাদের নির্বাচন যারা করে তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সরকার সেই নিরাপত্তা দেয়নি। শমসের ডাকাত সম্পর্কে তার বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা, রাহাজানি, ডাকাতি, খুন – এসব মামলা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও বলেছি। কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। আমার শরীর সুস্থ হলে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে তাদের নিয়ে যাবো। এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য কী করবে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার তা জিজ্ঞেস করবো।”
৮ জানুয়ারি (সোমবার) নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এই কথা জানান নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপি নামটা এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আছে। এবং তৃণমূল বিএনপি‘র যে প্রতীক সোনালী আঁশ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। অতএব, আমরা রাজনীতি করবো। আমরা আমাদের বক্তব্য দিবো। সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে কি হয়েছে না হয়েছে সব বিস্তারিত তুলে ধরবো এবং পরবর্তী সময়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জনগণকে জানাবো। আমাদের চেয়ারম্যান শমসের আলী চৌধুরী বীর বিক্রম ও অন্তরা সেলিমা হুদা ঢাকা আসলে সবার সাথে আলোচনা করে এই নির্বাচন সম্পর্কিত বিবৃতি দিবো।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমি খুব গুরুতর অসুস্থ। কথা বলতে পারছি না, ঠান্ডা-জ্বর। আমাদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলী চৌধুরী বীর বিক্রম এখনও সিলেটে আছেন। এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা এখনও তার নির্বাচনী এলাকায়। আমি গুরুতর অসুস্থ। এমন অবস্থায় আমরা যৌথভাবে আলাপ আলোচনাক্রমে যৌথ বিবৃতি দিবো। আমাদের যারা অন্যান্য প্রার্থী আছে তাদের সাথে আলাপ করবো। আমরা ইন ডিটেইলস প্রমাণপত্র সহ সরকার কীভাবে নির্বাচন করলো তার প্রমাণ আমরা দিবো। আজকে জরুরী ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, চনপাড়ার ব্যপারে আমরা আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলাম। সেখানে ১৮ হাজারের বেশি ভোট। ওখানে শমসের ডাকাত বলে একজন লোক আছে আর রীতা মেম্বার, তারা রাম রাজত্ব কায়েম করে ফেলেছে। তাদের অত্যাচারে সেখানে মানুষ কোনও কথা বলতে পারে না। তারা ঘোষণা দিয়েছে নৌকার প্রার্থী ছাড়া আর কারও কোনও প্রচারণা হবে না। আমার পাশে বসা মহিলা দলের নেত্রী, জেলা মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক ফাতেমা বেগম ও তার পরিবার আমার পক্ষে নির্বাচন করায় কালকে সন্ধ্যার সময় তার বাড়িঘর লুটপাট করে সব নিয়ে গেছে, একটা কিছু নেই একদম শূন্য হয়ে গেছে।