সড়কের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের জেরে বিদ্যুৎ চালিত পাখা (ফ্যান) চুরির অভিযোগে এক যুবককে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফতুল্লার তল্লা রেল লাইন এর বিপরীত পাশে এই ঘটনা ঘটেছে।
পরে রাতে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী যুবকের বড় ভাই মো. সিফাত হোসেন।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন-তল্লা রেল লাইন রোডের বিপরীত পাশের মৃত খোকা মাহাজনের ছেলে মহাসিন (৪৫), তাঁর ভাই মুকুল মিয়া (৫৫) ও মুকুল মিয়ার ছেলে রামিম (২০)।
মো. সিফাত হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘মহাসিন ও মুকুল মিয়া সর্ম্পকে আমার শ্বশুরের চাচাতো ভাই এবং রামিম মুকুল মিয়ার ছেলে। তারা আমার বাড়ির পাশের সড়কের জমি অবৈধ ভাবে দখল করার চেষ্টা করে আসছিল। আমি বাঁধা নিষেধ দিলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুলাই বিকাল ৫টায় আমার ছোট ভাই মো. রিফাত হোসেন (১৮)কে একা পেয়ে মিথ্যা চুরির ঘটনা সাজিয়ে এলাপাতাড়ী মারধরসহ রক্তাক্ত জখন করে। ছোট ভাইয়ের চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে গেলে আমাকেও লাঠি দিয়ে স্বজোরে আঘাত করে। এ সময় আশপাশের মানুষ এসে উদ্ধার করেন।’
এ সময় জমি না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
অভিযুক্ত রামিম জানান, ‘বাদি মো. সিফাত হোসেনের স্বজনদের কাছ থেকে ২ শতাংশ জমি কিনেছেন রামিমের বাবা মুকুল মিয়া। জমিটি পুরো বুঝে পেলেও সামনের অংশে বাংলাদেশ রেলওয়ের কিছু জমি রয়েছে। সেখানে আমার বাবা বাড়ির প্রবেশদ্বার (গেইট) বানাতে চেয়ে ছিল। কিন্তু মো. সিফাত হোসেনরা বাঁধা দিচ্ছিলো। তা নিয়ে আমাদের সাথে ওদের দন্ধ ছিল। আজকে আমাদের বাসার সামনে রাখা যাত্রীবাহী বাস থেকে ফ্যান চুরি হয়। সিফাতের ভাই রিফাতকে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বির্তক সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে গিয়ে পৌঁছায়।’
এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।