পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে প্রায় ৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। সফরের একমাত্র টেস্টের সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। বাকি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মিশনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩টি ম্যাচ খেলবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর দল। যার প্রথমটি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায়।
আগের সূচি অনুযায়ী তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী শুক্রবার। কিন্তু দুই বোর্ডের সমঝোতায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে এই ফরম্যাটের মাঠের লড়াই। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি আগামী শুক্রবার ও শেষ টি-টোয়েন্টি হবে রোববার। এবার তিনটি সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই জিম্বাবুয়ে পা রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে সফল হয়েছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ।
কুড়ি ওভারের লড়াইয়ে পূর্ণ শক্তির দলকে পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। সাকিব আল হাসান থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে ওয়ানডে সিরিজ খেলে হারারে থেকে ঢাকার পথ ধরেছেন তামিম। মুশফিকুর রহিম পারিবারিক কারণে আগেই দেশে ফিরে এসেছেন।
আর কয়েক মাস পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ টাইগারদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার আগে পরিসংখ্যান অবশ্য ভালো বার্তা দিচ্ছে না। সবশেষ ১০ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মোটে তিনটি। ৯ ম্যাচে ৩২ জয়ের বিপরীতে পরাজয় ৬৫ ম্যাচে। এদিকে কিছুদিন আগেই ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ছেড়ে কথা বলেনি জিম্বাবুয়ে। সিরিজ জিততে না পারলে এক ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা।
এ নজরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড-
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, শামীম পাটোয়ারি, কাজী নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।