রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুন্সিগঞ্জে সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের দাবী সুবিধাবাদী নেতৃত্ব বর্জন করে তৃনমুল নেতৃত্বের মুন্সিগঞ্জে জিপিএ-৫ পাওয়া ৩’শ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির টঙ্গীবাড়ির দিঘীরপাড়ে নদীভাঙনে ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার ইসরাইলে সম্মিলিত আক্রমণ চালালো ইয়েমেনি বাহিনী ভারত সফরে কবে যাচ্ছেন মেসিরা, জানাল আর্জেন্টিনা বলিউডে বেতনের তারতম্য নিয়ে যা বললেন কৃতি শ্যানন কোনো অনিয়ম হলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল : সিইসি সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ

টঙ্গীবাড়ির দিঘীরপাড়ে নদীভাঙনে ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫, ২.৪৭ পিএম
  • ১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের কান্দারবাড়ি ও সরিষাবন এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙনে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মার ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও আবাদি জমি। নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রামই বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার মতো কার্যকর উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। ফলে প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন ঘরবাড়ি ও জমি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।
একজন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা হাসেম খান বলেন, “আমরা রাতেও ঘুমাতে পারি না। যে কোনো মুহূর্তে নদী আমাদের ঘরবাড়ি নিয়ে যাবে। প্রশাসনের কাছে বারবার বলেছি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না।”
এলাকাবাসী মনে করছেন, শুধু জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী সমাধান করা হলেও এটি দীর্ঘমেয়াদি নয়। নদী ভাঙন থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
একজন প্রবীণ গ্রামবাসী মোঃ আল -আমিন বেপারী বলেন, “প্রতিবছর বর্ষার সময় একই সমস্যা হয়। কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কাজ চালানো হয়, কিন্তু কয়েক মাস পর আবার সব ধুয়ে যায়। এভাবে আর চলতে পারে না। এখানে স্থায়ী বাঁধ না হলে পুরো গ্রামই একদিন নদীর মধ্যে চলে যাবে।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও স্বীকার করেছেন, এ এলাকায় অস্থায়ী উদ্যোগে কোনো সুফল আসবে না। স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণই একমাত্র সমাধান। তারা সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নদীভাঙনে বাড়িঘর হারানো বহু পরিবার ইতিমধ্যেই গৃহহীন হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বা অন্যত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও মসজিদও এখন হুমকির মুখে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
প্রতিদিনই নদীভাঙনে ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর ও জমি প্রশাসন এখনো ফেলছে না জিও ব্যাগ
স্থানীয়দের দাবি: স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort