বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বিগত তিন নির্বাচন বৈধ বলা পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে না : সিইসি শরীয়তপুরের রুদ্রকর মঠ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নারায়ণগঞ্জের সকল গ্লানি ও দূর্নাম মুছে ফেলতে হবে : গিয়াসউদ্দিন নাঃগঞ্জ বন্দর রেলগেইটে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর ২য় শাখা অফিস উদ্বোধন গোদনাইল পদ্মা অয়েলের নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে শামীম ওসমানদের মত গুন্ডাবাহিনীর হুংকারে বিএনপি কখনো রাজপথ ছাড়েনি-রাসেল ‘নারীদের প্রতি সমাজ-রাষ্ট্রের এক ধরণের অবহেলা আছে’ ৭ জুলাই : বাংলা ব্লকেডে স্থবির ঢাকা, কোটা বাতিলে এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা মধ্যরাতে নারী ফুটবলারদের জমকালো সংবর্ধনা গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি

জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মামলার সাক্ষীকে জুতা পেটা করল আসামিরা

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২, ৪.২১ এএম
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদি ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে ১৭ দিন জেলহাজতে থাকায় জামিনে বের হয়ে ৮৫ বছর বয়সী সাক্ষী হাজি তাহের আলীকে জুতা পেটা করেছে আসামিরা।

 

এ ঘটনায় লাঞ্ছিত মামলার সাক্ষী হাজি তাহের আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে সোনারগাঁ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে ২০১৪ সালে সাবেক মেম্বার মূছা মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার কামাল মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মূসা মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

ওই মামলায় মূসা মিয়ার বিপক্ষে হাজি তাহের আলী আদালতে সাক্ষী দেয়। ওই সাক্ষীর কারণে আদালত তাদের ৭ বছরের সাজা দেয়। ওই মামলায় মূসা ও তার ভাই মোস্তফা মিয়াসহ অন্যান্য আসামিরা ওই রায়ের বিপক্ষে আপিল করেন। ১৭ দিন কারাভোগের পর গত সপ্তাহে মূসা মিয়া ও মোস্তফা মিয়া জামিনে বের হয়ে আসে।

বৃহস্পতিবার সকালে এ মামলার সাক্ষী হাজি তাহের আলী চা পান করতে দোকানে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মূসা মিয়া তার ভাই মোস্তফা মিয়া ও মো. আনাজ মিয়া তার সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে। একপর্যায়ে আসামি মোস্তফা মিয়া জুতা দিয়ে আঘাত করে লাঞ্ছিত করে।

লাঞ্ছিত হাজি তাহের আলীর ছেলে বারদি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তার বাবার বয়স ৮৫ বছর। ২০১৪ সালের একটি মামলায় তার বাবা আদালতে সাক্ষী দেয়। ওই সাক্ষীতেই তাদেরও আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে।

এ মামলায় দুজন ১৭ দিন কারাভোগ করেছেন। আপিল করে তারা জামিন পায়। জামিনে বের হয়ে ১৭ দিন কারাভোগ করায় তার বাবাকে মূসা মিয়ার নির্দেশে ১৭টি জুতা পেটা করে। এর আগেও তার বাবাকে তারা পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দিয়েছে। ৪ মাস চিকিংসাধীন ছিলেন তিনি। এখনো পায়ে রড ভর্তি রয়েছে।

অভিযুক্ত মূসা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাহের আলীর মিথ্যা সাক্ষীর কারণে এ মামলায় আদালত আমাদের সাজা দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, এ বয়সের মানুষকে এভাবে লাঞ্ছিত করা খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort