শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন

জেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতিকে সদস্য পদে আবু নাইম ইকবাল প্রচার-প্রচারনায় ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১০.০৪ পিএম
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনের জন্য হেভীওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন আবু নাইম ইকবাল। এনিয়ে সর্বত্র চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা। এই নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধীতায় আগ্রহী প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। উপজেলার সর্বত্রই তাদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার আশির্বাদপুষ্ট জেলা পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী আবু নাইম ইকবাল দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সবসময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে বন্ধু এবং সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া তিনি দলমত নির্বিশেষে সোনারগাঁয়ের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পছন্দের প্রার্থী বলেও মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এদিকে জেলা পরিষদের সদস্য পদে আরও যারা তার প্রতিদ্বন্ধীতা হিসেবে লড়বেন তারা হলেন-জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বর্তমান সদস্য পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম। এদের মধ্যে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আশির্বাদপুষ্ট সৎ, আদর্শবান ও সুশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে আবু নাইম ইকবালকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভোটাররা।

তবে তিনি বিজয়ী হলে আগামী ৫ বছর পুরো ৩ নং ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস ও দূর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর সোনারগাঁ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে সোনারগাঁবাসীর ধারনা। এদিকে জেলা পরিষদের সদস্য পদে জনপ্রিয়তার মাঝে ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য আবু নাইম ইকবাল। তিনি এবার তালা প্রতিক নিয়ে প্রচার-প্রচারনায় নেমেছেন।

ইতিমধ্যেই আবু নাইম ইকবাল বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগে নেমে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্যাপক গণসংযোগও করেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগসহ ভোটারদের কাছে দোয়া ও সমর্থন চান তিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরাও আবু নাইম ইকবালকে সমর্থন জানিয়ে তার পক্ষে দোয়া কামনা করেন।

এসময় তারা বলেন, আবু নাইম ইকবাল একজন সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী। জেলা পরিষদের সদস্য পদে তার চেয়ে যোগ্য কোন প্রার্থী সোনারগাঁয়ে নেই। তাই আমরা আবু নাইম ইকবালকে সমর্থন জানিয়ে তার পক্ষে মাঠে আছি। তিনি বিপুল ভোটে সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে আমরা আশাবাদী। এছাড়াও আবু নাইম ইকবাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হলে শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ অনেকাংশেই উন্নয়ন হবে এবং তার মতো একজন যোগ্য লোক জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পেলে আশা করি সোনারগাঁবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন হবে।

জেলা পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী তালা প্রতিকের আবু নাইম ইকবাল জানান, আমি সোনারগাঁয়ের উন্নয়নে এবং ভাল কাজে সব সময় সোনারগাঁবাসীর সাথে ছিলাম, আছি আর ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ্। আমি আশাবাদী এই নির্বাচনে ভোটাররা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়ে ভূল সিদ্ধান্ত নিবে না। যদি আমার ভালবাসা সোনারগাঁবাসীর মাঝে থাকে তাহলে এই বিজয় কেউ ফিরাতে পারবে না। তাই আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চান।

জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনে বিজয়ী করতে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও জাপার বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার অস্তিত্বের লড়াই শুরু হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থিত সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম (হাতি) প্রতিক এবং জাপার বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল (তালা) প্রতিক নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে লড়াই করবেন। জেলা পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডটি ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। তবে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ থাকায় এবার ১০টি ইউনিয়নের ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ভোট গ্রহন হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবু নাইম ইকবাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাকে নির্বাচনে পরাজিত করতেই বিরোধী প্রার্থীর লোকরা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে সব বাঁধা অতিক্রম করে জনপ্রতিনিধিরা আমাকে তাদের মূল্যবান ভোটটি দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ্।

ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort