হোক খর্বশক্তির দল নিয়ে, তবু জিম্বাবুয়ের কাছে হার। আঁতে ঘা লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। জিম্বাবুয়েও অবশ্য খেলেছিল নিজেদের প্রধান দুই পেসারকে ছাড়াই, এ তথ্য বাংলাদেশ দলের সে জ্বালাটা আরও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এমন হারের পর বাংলাদেশ দলের মন খারাপ, ব্যথিত বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও। জানালেন জিম্বাবুয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার মেনে নেওয়ার মতো নয়।
আজ বুধবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুজন পুরো দোষটা চাপালেন ক্রিকেটারদের ঘাড়ে। বললেন, ‘সবারই মন খারাপ, আমারও মন খারাপ। স্বাভাবিক। আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেব। আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেব। তাদের প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভুল ছিল।’
অনুশীলনে ভালো করেও ম্যাচে গিয়ে এর প্রয়োগ দেখাতে না পারার আক্ষেপ শোনা যায় অনেক দিন ধরেই। সুজনের অভিমত, ম্যাচের চাপের কারণে এমনটা হচ্ছে। দলকে শিগগিরই এই চক্র থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দিলেন তিনি।
বললেন, ‘বার্তা একটাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে, অনুশীলনের মাধ্যমে বের হতে হবে। আপনি অনুশীলনে ঠিকই ক্যাচ ধরছেন, মাঠে চাপের জন্য পারছেন না। এই চাপ থেকে আপনাকেই বের হয়ে আসতে হবে।’
ইতিবাচক ক্রিকেটের কথা বললেও ম্যাচে এর প্রয়োগ দেখাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। সুজনের মতে, সাহসী ক্রিকেটটা খেলতে পারেনি দল। বললেন, ‘কালকে আমাদের একটা ব্যাটারকে উচিত ছিল অ্যাটাক করা। আমাদের ৮ নাম্বার ব্যাটার মেহেদী ছক্কা মেরেছিল। এটা তো আমরা চাই না, আমরা চাইব সাহসী খেলতে হবে। যেটা বার্ল করল, এক ওভারে ৩৪ নেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেল, ৬ ওভার ৮০ মতো রান, আমার মনে হয় এটা বিশ্ব রেকর্ডও। লিটন রান করেনি বলে টপ অর্ডার রান করবে না, এটা তো কঠিন কল। এটা থেকে তো বের হয়ে আসতে হবে। তাদের থেকে ইতিবাচক খেলতে হবে, কোথায় থেকে বাউন্ডারি বের করবেন, প্লান অনুযায়ী খেলা, জুটি গড়া। এসব পারলে ইজি হতো। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি সেটাও মেনে নেওয়ার মতো না।’
এই সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ফর্মটা পক্ষে কথা বলছিল না মোটেও। সেই বৃত্ত থেকে বেরোনো যায়নি এই সিরিজেও। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী? সেটা একমাত্র ক্রিকেটাররাই জানেন, অভিমত সুজনের। বললেন, ‘করণীয়টা কী এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।’