জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর অনেকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে। আমি মনে করি এই জাতীয় পার্টিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটা শক্তি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে ১৯৭৫ সাল থেকে আমার নেতা (এরশাদ) ক্ষমতা পাওয়ার আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পরিচয় দিতে পারে নাই। মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট আনতে যেতো না, পরিচয় দিতো না। তখন শুধু মুক্তিযোদ্ধা নিধন চলেছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া ও তার সুস্থতা কামনায় রোববার (১৪ আগস্ট) বাদ মাগরিব সোনারগাঁ উপজেরার চৌরাস্তায় অবস্থিত সংসদ সদস্য কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এমপি খোকা এসব কথা বলেন।
এমপি খোকা বলেন, ১৯৭১ যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন ওই সময় তারাই ক্ষমতায় ছিলেন। এর থেকে বুঝা যায় ওই সময়ের সরকারের মনোভাব কি ছিলো। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না, এমন আইনও করেছিলো। অত;পর বাংলার মানুষ এমন সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছে।
উক্ত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মুদাসসের উল হক দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি সিরাজুল হক সিরাজ, বাসেদ মেম্বার, সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু, জাবেদ রায়হান জয়, মহানগর জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মাস্টার, তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক কাজী লিটু, জাকির হোসেন প্রমুখ।