রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার জাহিন নিটওয়্যার্স লিমিটেড নামে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাÐের ঘটেছে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ব্যাপক য়তি হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মদনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নেভাতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।
প্রতিষ্ঠানের সুইং বিভাগের শ্রমিক হাবিব জানান, বিকেল পৌনে চারটার দিকে আগুনের খবর দেয় কারখানার ২নং ইউনিটের নিরাপত্তা কর্মীরা। এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু শুক্রবার হওয়ায় বেশিরভাগ ইউনিট বন্ধ ছিল। তবে প্রতিটি ইউনিটে কিছু শ্রমিক তৈরি পোশাক প্যাকেট করার কাজ করছিলেন। তবে কেউ ভেতরে আটকা পড়েছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রচুর ধোঁয়া তৈরি হয়। ধোঁয়ার কারণে পাশের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল কিছুণ বন্ধ ছিল। এদিকে বিকেল সাড়ে চারটায় খবর পেয়ে পৌনে পাঁচটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক শফিউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, আগুন লাগার পরপর নিরাপত্তা রীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ বিদ্যুৎ বিভাগকে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কারখানাটি স্টিলের কাঠামোর। ভেতরে গেঞ্জি, পলো শার্ট, জ্যাকেট, ট্রাইজার এসব তৈরি করা হয়। প্রতি তলায় সেসব স্তুপাকারে ছিল। এগুলো পুড়ে যাওয়াতে ব্যাপক য়তি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বিকেল সাড়ে চারটায় আগুন লাগার খবর পাই। বেলা পৌনে পাঁচটায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছায়। এরপর একে একে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁ, বন্দরসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলি এসে আগুন নেভানোর কাজ করতে থাকে। রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছিল। কারখানা ভবনের তিনটি দোতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলাগুলোতে আগুন জ্বলছিল। তবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, কারখানার পরিসর বড় হওয়ায় এবং আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপন কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে ভেতরে কোন শ্রমিক আটকা পড়েনি বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। কোনো হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।