শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

চীন, রাশিয়া, তুরস্কসহ যেসব দেশের স্বীকৃতি পাচ্ছে তালেবান!

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১, ৭.৪২ এএম
  • ৪৯০ বার পড়া হয়েছে

কাবুলের সিংহাসন থেকে তালেবানকে হটানো হয়েছিল ২০০১ সালে। দীর্ঘ ২০ বছর আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আবারও দৃশ্যপটে তালেবান। ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ তালিকায় চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো ছাড়াও রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম।

চীন বলছে তারা তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার জন্য প্রস্তুত। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং সাংবাদিকদের বলেন, আফগান জনগণের নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণের স্বাধীন অধিকারকে চীন সম্মান জানায়। চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক করতে প্রস্তুত।

গত মাসেই সফররত তালেবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো বেশ কিছু ছবি ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান বরাবরই তালেবানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। তালেবানের বিজয়ের পর ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে এখন যা ঘটছে, তাতে তারা (তালেবান) দাসত্বের শেকল ভেঙে দিয়েছে।

এদিকে রাশিয়া বলছে, তারা তালেবানের সমন্বয়কের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবেন

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূত তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আগামীকাল তালেবান নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জারিনভ সাক্ষাৎ করবেন। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব তালেবানকে স্বীকৃতি দেবো কি না। তালেবানের সরকার গঠনের ভিত্তি দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, কাবুল থেকে রাশিয়ার দূতাবাস সরানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন সংবাদমাধ্যম এপি-কে বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে তার দলের সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাশিয়াসহ অন্য দেশগুলোর মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি তালেবানের নীতির মধ্যেই পড়ে।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সোমবার জানান, তালেবানের উচিত তাদের ভাইদের ভূমির দখলদারি বন্ধ করা। আফগানিস্তানে যে বর্তমানে শান্তি বিরাজ করছে সেই বিষয়টি বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা উচিত।

এরদোগান বলেছেন, তার দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করবে। এ ব্যাপারে যথাসাধ্য সবকিছুই করা হবে।

এছাড়া কাতার ও ইরানও আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে সমর্থন জানাতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort