গত নিউজিল্যান্ড সফরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে টেস্ট দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দল ঘোষণার পর এই অলরাউন্ডার বোর্ডকে লিখিত জানান, এই সফরে যেতে চান না তিনি। এবার আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ঘোষিত ওয়ানডে আর টেস্ট দলে নাম আছে সাকিবের। এবারও সাকিব বলছেন, খেলতে যেতে চান না। সাকিবকে নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন বিসিবি সভাপতি। তবে এভাবে চলতে দেবেন না নাজমুল হাসান পাপন।
এবার বিসিবি নির্বাচনের আগে পাপন জানিয়েছিলেন, বোর্ড সভাপতির চেয়ারে আর নাও দেখা যেতে পারে তাকে। বোর্ড পরিচালক হিসেবে থেকে যেতে পারেন তিনি। তবে শেষপর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন পাপন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, এসব কারণেই দায়িত্ব নিতে চাননি তিনি।
সোববার সন্ধ্যায় সাকিব প্রসঙ্গে গুলশানের নিজ বাসায় সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘এগুলো আর জিজ্ঞেস করবেন না। আজ থেকে ৭-৮ মাস আগে যখন বলেছি, এটার পেছনে এসব কারণ ছিল। আমি এবার বিসিবি সভাপতি হতেই চাইনি এই কারণে। এটাই একমাত্র কারণ। আমার পক্ষে আসলে এগুলো মেনে নেওয়া খুব কঠিন।’
যোগ করেন পাপন, ‘চুক্তির খেলোয়াড়রা চুক্তি অনুযায়ী খেলতে বাধ্য। আমি কারও জন্য ছাড় দেব, কারও জন্য কঠিন হবো এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এজন্য হতে চাইনি। জানি আমি যদি হই, এমন হবে এবং আমাকে এমন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা কঠিন সিদ্ধান্ত, যা দেশের মানুষ চায় না, আপনারাও চান না। কিন্তু আমার পক্ষে এগুলো মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমি যতটুক পারি চেষ্টা করছি। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না।’
কিন্তু সাকিব আল হাসান রোববার তার বিস্ফোরক মন্তব্যে বলেছেন, চুক্তির কোনো কাগজ পাননি তিনি। এ কথা শুনে আরো চটেছেন পাপন। সংবাদমাধ্যমের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, সাকিব তাহলে বোর্ডকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চাইছে?
পাপন বলেন, ‘তার মানে আপনারা বলছেন এই তালিকা মিথ্যা? সাকিব কি তাই বোঝাতে চাচ্ছে? ও দেয়নি, ওর নামে মিথ্যা ডকুমেন্ট বানানো হয়েছে? এটা আপনাদের ধারণা? আমি যদি না-ই জানি কে কোন ফরম্যাটে খেলবে, আমি চুক্তির তালিকা বানাব কীভাবে? আমি এখন রিয়াদকে রাখব টেস্টে? ও তো টেস্ট চুক্তিতে থাকবে না। মাসে মাসে বেতন নিবে আর খেলবে না? আপনারা অনেক ভীত হয়ে যান সবকিছুতে। ওরা আমাকে পাঠিয়েছে, সব ফরম্যাটে খেলবে। এখানে কমিউনিকেশন গ্যাপ কোথায়?’