শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মেঘনা নদীর পাড়ে নৌকায় বসবাসরত ৫০ বেদে পরিবারকে করোনা টিকা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের এডিসি তৌছিফ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসাইনসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকার ঘোষিত ১ কোটি গণ টিকার প্রথম ডোজ ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি প্রদান করা হবে। সেই লক্ষ্যে সারাদেশের মতো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গণ টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছিল। গোসাইরহাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২৭টি টিকাদান কেন্দ্রে মোট ১২ হাজারের মানুষের প্রথম ডোজ করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেদে সম্প্রদায় নৌকায় বসবাস করে। শনিবার তাদের টিকা প্রদান করা হয়েছে। তাদের অনেকের জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন খাতে কর্মরত মৌসুমি শ্রমিক ও অন্য উপজেলা থেকে আসা ইটভাটার শ্রমিক যারা টিকা দেননি, তাদেরও টিকা প্রদান করা হয়। গোসাইরহাটে ১০০ বেদে ও ৪০০ ইটভাটার শ্রমিককে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
বেদে সম্প্রদায়ের সামছুর নাহার বলেন, আমারা ভাবছিলাম টিকা দিতে পারব না। আমাদের জন্মনিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড ছিল না। তাই এত দিন টিকা নিতে পারিনি। কিন্তু সরকারের এই সুবিধার কারণে টিকা দিতে পেরেছি।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, ১২ হাজার টার্গেটের থেকে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ টিকা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় এই টিকা কার্যক্রম সফল হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্ট বলেন, সকাল থেকে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে করোনা টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই টিকাদানের দিনব্যাপী কর্মসূচি চলে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য গাড়িতে করে মোবাইল টিকাদানের বুথ করা হয়।