সোনারগাঁয়ে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি আত্মহত্যা, তবে গৃহবধূর পরিবারের দাবি হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে কোন এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম সনিয়া আক্তার (২৬)। সে সোনারগাঁয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার ডাক্তার সানোয়ারের ছেলে মো. সজিবের স্ত্রী।
নিহতের নিকট আত্মীয়রা জানান, তিন সন্তানের জনক-জননী সনিয়া ও সজিবের দাম্পত্য জীবন ছিলো কলহের। তারা প্রায়ই ঝগড়া করতো। ধারনা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার কারনে মনের ক্ষোভে গৃহবধূ সনিয়া গত রাতে কোন এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সজিবের চাচাতো ভাই জানান, ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে সনিয়ার স্বামী সজিব লোহার শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে স্ত্রীকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে। পরে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে সনিয়াকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত গৃহবধূ সোনিয়ার বাবা জলিল মিয়া জানান, আমার মেয়ের জামাই একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ। আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি তার মেয়ের জামাই সজিবকে এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, নিহত সনিয়ার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায়ও কোন ফাঁসির দাগ দেখিনি।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি হত্যা করা হয়েছে, তবে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আমরা আগামীকাল লাশ মর্গে প্রেরণ করবো। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।