ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লার ইসদাইর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীরা গৃহবধূ সাবিনার (২৫) চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে গায়ের আগুন নিভিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার গলা, বুক, পেটের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় তার ভাই বিল্লাল হোসেন ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় সাবিনার দুই দেবর, জা ও শ্বশুরকে আসামি করা হয়েছে।
বিল্লাল জানান, চার বছর আগে সাবিনার সঙ্গে ইসদাইর বাজার এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে পারভেজের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জুনায়েদ নামে দুই বছরের একটি ছেলে আছে। পারিবারিক কলহের জেরে এক বছর আগে দেবর ও জা মিলে সাবিনার হাত কেটে দিয়েছিলেন। সে সময় তারা মামলা করলেও পরে ভগ্নিপতি পারভেজের অনুরোধে তা তুলে নেন। কিন্তু এরপরও তার বোনের ওপর নির্যাতন থামেনি।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরের পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে দেবর নয়ন ও শরীফ এবং নয়নের স্ত্রী আনমনার সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে শ্বশুর হানিফের নির্দেশে তারা সাবিনার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে নাারয়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে ফতুল্লার বক্তাবলীর প্রসন্ননগর এলাকায় তাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।
বিল্লাল বলেন, ভগ্নিপতি পারভেজ বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ফিরে ঘটনা শুনে তিনিই তাকে মামলা করতে বলেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, অভিযোগটি একজন এসআইকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।