গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন কমার বদলে আরও তীব্র হচ্ছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবন, স্কুল কোথাও হামলা চালাতে বাকি রাখেনি ইসরায়েল। পুরো গাজা এখন এক ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।
এদিকে উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবির এবং তুফাহ এলাকার আশেপাশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত লোকজনকে উদ্ধারের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জরুরি সেবা কর্মীরা।
রেড ক্রসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর আগে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকজনের ওপর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং আরও ৫০ জন আহত হয়েছে। ওই এলাকাকে নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা দিয়েও সেখানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে ইসরায়েলজুড়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভ আরও জোরালো হচ্ছে। প্রায় দেড় লাখ লাখ দেশটিতে আগাম নির্বাচন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
প্রায় আট মাস ধরে চলা সংঘাতে কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৫৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৫ হাজার ৯১১ জন।