কাসফা হোমস ডেভেলপার লিমিটেডের চারজন মালিক মো: কাসেম, মো: সালাম, আ: আজিজ ও মো: শাহ আলম ফরিদ। ১৯৯৪ সালে কোম্পানী এক্টের অধীনে নিবন্ধনকৃত হয়। যার নিবন্ধন নং সি-৯৫২৫১/১১। প্রাইভেট কোম্পানী হিসেবে সুনামের সাথেই কাসফা কার্যক্রম শুরু করে। চার পার্টনারের বড় ভাই কাসেম, মূলত কাসেমের উদ্যোগেই কাসফা নামে প্রতিষ্ঠানটি আলোর মুখ দেখে। বড় কাসেম ছোট ভাই ও ভাগিনাকে বিশ্বাস করে সরল মনে সালাম আজিজ ও শাহ আলমকে কাসফা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর সালাম আজিজ ও শাহ আলম কারণে অকারণে নিজেদের খেয়াল খুশিমত কাসেমের অজান্তে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কাসফার পক্ষ থেকে কয়েকটি বিল্ডিং এর কাজ করার পর ভাগিনা শাহ আলম লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। শাহ আল চলে যাওয়ার পর সালাম ও আজিজ দুই ভাই কাসফা পরিচালনা করে। বড় ভাই কাসেম অন্যান্য ব্যবসায় ব্যস্ত থাকায় দুই ভাই যখন যা বলতো বড় ভাই তাই বিশ্বাস করতো। সুচতুর দুই ভাই বড় ভাইয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে কাসফার টাকা নিয়ে বড় ভাইকে না জানিয়ে নিজেরাই ডেভেলপারের অন্য একটি প্রতিষ্ঠান করে ব্যবসা শুরু করে। নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে গড়ে তুলতে গিয়ে কাসফার কার্যক্রম শুন্যের খাতায় নিয়ে আসে। সালাম ও আজিজ বড় ভাই কাসেমকে কাসফার মালিকানা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য নানা ধরনের ফন্দি আটতে শুরু করে।
কাসফার পক্ষ থেকে ১৩/১০/২০১১ইং তারিখে ৩৮/৮ নং কলেজ রোড নিবাসি মীর আবুল কাসেমগংদের সাথে নয়তলা ভবন করে দেওয়ার চুক্তিবদ্ধ হয়। কথিত থাকে সিটি কর্পোরেশন রাজউজ এবং সকল দপ্তরের অনুমোদন নেওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে কাসফা কর্তৃপক্ষ মীর আবুল কাসেমগংদের নয়তলা ভবন সম্পন্ন করে দিবে। শুধুমাত্র কাসফাকে ধ্বংস করার জন্য সালাম ও আজিজ যথা সময়ে কাজ শেষ না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো বিল্ডিং বেচাবিক্রি করে মো: কাসেমকে না জানিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে যায়। সালাম ও আজিজ তাদের কথা শুনলে মনে হবে, তাদের মতো ভালো মানুষ কেউ নেই। অথচ টাকার জন্য তারা আপন ভাইয়ের সাথে একের পর এক যে ধরনের বেঈমানী করেছে, তা লিখে শেষ করা যাবে না।সালাম ও আজিজ মীর আবুল কাসেমের বিল্ডিং এর কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে মীর আবুল কাসেমের পক্ষ থেকে ০৪/১১/২০২০ইং তারিখে মীর আবুল কাসেমগং মো: আজিজ ও তার ভাগিনাকে একটি উকিল নোটিশ দেয়। উকিল নোটিশ দেওয়ার পর থেকে আজিজ সালামের বড় ভাই মো: কাসেম জানতে পারে এবং খোঁজ নিয়ে দেখে সালাম ও আজিজ তার অজান্তে ফ্ল্যাট বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এবং কাসফার অনেক টাকা দেনা হয়ে গেছে। মো: কাসেম ছোট ভাইকে জিজ্ঞাসা করলে এবং তার পাওনাকৃত টাকা চাইলে সালাম বড় ভাইকে প্রকাশ্যে মারধর করে। বড় ভাই কাসেম ছোট দুই ভাইকে ডেকে এনে কাসফার মালিক বানায়, অথচ টাকার জন্য বড় ভাইয়ের উপর হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করেনি। পরবর্তিতে সার্বিক ঘটনা নিয়ে সামাজিকভাবে বিচার সালিশ হলে সালাম ও আজিজকে বিচারকগণ নানাভাবে তিরস্কার করলেও সালাম আজিজ বরাবরই নীরবতা পালন করেছে। ইতিমধে সালাম ও আজিজের কর্মকান্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি বিচার সালিশ হয়েছে, সালাম ও আজিজ প্রতিটি বিচারেই তাদের কার্যক্রমের জন্য অপমানিত হয়েছে। শুধুমাত্র বড় ভাই কাসেমকে ঠকানোর জন্য ও অপমানিত করার জন্য সালাম আজিজ যতো কৌশল অবলম্বন করেছে, শেষ পর্যন্ত ওরা দু’জনই অপমানিত হয়েছে।কাসফা হোমস ডেপেলপার লি: এর পক্ষ থেকে আ: আজিজ, আ: সালাম ও মো: শাহ আলম প্রতারনার মধ্যদিয়ে বড় ভাই মো: কাসেমকে অবগত না করে দলিলে স্বাক্ষর করে গীতা রানী দাস, পতি: প্রদিপ কুমার দাস, পিতা: গণেশ চন্দ্র রায়, ৩১নং কে.সি নাগ রোড নারায়ণগঞ্জের কাছে ৫৫, ৮৩, ৯০০ টাকায় মীর টাকায় মীর টাওয়ার এর ৯ম তলা সি.টাইপ এর একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে নগদ গত ১০/০৪/২৩ইং তারিখে ৪০,০০০০ (চল্লিশ লক্ষ) টাকা নেয়। এবং দলিলে তিনজনে স্বাক্ষর করে। অথচ কাসফার বর্তমান চেয়ারম্যান বড় ভাই আ: কাসেম। ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা তিনজনে ভাগ করে নেয়। ফ্ল্যাট বিক্রির দলিলটিতে তিনজনের স্বাক্ষর দেখলেই বুঝা যাবে যে, সালাম, আজিজ ও শাহ আলম কতো বড় প্রতারক।