খুলনায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে নগরের কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর ও জেলা বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সমাবেশে অংশ নিতে বিকেলে বিভিন্ন উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন। ছাত্রলীগের একটি মিছিল আওয়ামী লীগের অফিসের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনা শুনে বিএনপি অফিসের সামনে অবস্থানরত নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদের জন্য অগ্রসর হতে চাইলে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বাধা দেন। তাদের বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ পিকচার প্যালেস মোড়ের দিকে অগ্রসর হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ছাত্রলীগ ও পুলিশের বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সমাবেশস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ১৭ জনকে আটক করেছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করি। সমাবেশের দিকে আসা মিছিলের ওপর প্রথমে ছাত্রলীগ হামলা করে। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশ একত্রিত হয়ে সমাবেশস্থলে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সিটিএসবি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রিপোর্ট তৈরি করে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।