সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততাও বেড়েছে। সারা দিন অফিসে কাজ শেষে ক্লান্ত বোধ করা নিয়মিত রুটিনের মধ্যে পরে। ক্লান্তি থেকেই বাড়ে দুশ্চিন্তা। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যস্ত জীবনের মাঝেও প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে তৎক্ষণাৎ ক্লান্তি দূর হয়ে মন ভালো হয়ে যেতে পারে!
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে যে কোকো থাকে, তা আমাদের মন ভালো করে দেয়। পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড এই দুই যৌগ আমাদের মস্তিষ্কের কোষ সতেজ রাখতে সাহায্য করে, স্ট্রেস কমায়।
শাকসবজি
মানসিক চাপ কমাতে শীতকালীন পালংশাক অন্যতম। পালংশাক শরীরে ডোপামিন তৈরি করে। ডোপামিন আমাদের মেজাজ শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ২০১৩ সালে ওটাগো বিশ^বিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সবুজ শাকসবজি এবং ফল খেলে আগের চেয়ে প্রফুল্ল অনুভব করে। একই সঙ্গে তাদের মন-মেজাজ শান্ত ও খুশি থাকে।
কলা
টাশিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ কলা শক্তির দারুণ উৎস। শরীরে ক্লান্তি ভাব দূর করে এই ফল।
মিষ্টি আলু
মানসিক চাপের বড় কারণ কোর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ। মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু এই হরমোনের ক্ষরণের পরিমাণ কমায়। মন ভালো থাকে।
ব্রুকলি
এটিতে সালফোরাফেন নামক উপাদান রয়েছে। সেটি অবসাদের পরিমাণ কমায় এবং মন শান্ত করে।
কাবলি ছোলা
শুধু খেতেই ভালো নয়, এই ছোলা মস্তিষ্কের জন্যও খুবই উপকারী। এর এল-ট্রিপটোফান নামক উপাদান মন ভালো করে দেয়।
দই
বিষণ্নতা, হতাশা, উদ্বেগ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগেথাকলে আপনার প্রতিদিনের খাবারে একবাটি দই যোগ করুন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার ফলাফল বলছে, যদি টানা চার সপ্তাহ দিনে দুবার দই খাওয়া যায় তবে মস্তিষ্ক অনেক বেশি কাজ করে।
পেস্তা বাদাম
পেস্তা বাদাম খেলেও আমাদের মানসিক চাপ কমে। পেস্তা বাদাম হৃৎপিণ্ডের জন্যও খুব উপকারী।
অ্যাভোকাডো
অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল অ্যাভোকাডো। যা শরীরের জন্য উপকারী। সকালে এবং দুপুরে অনেকে এ ফল খাওয়ার অভ্যাস করে। যা সারাদিন মন প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমাতেও এটি অনেক উপাদেয়।
দুধ
দুধ ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম উৎস। ক্লান্তি দূর করে মানসিক চাপ কমাতে যেসব খাবার উপকারী, তার মধ্যে দুধ অন্যতম।
সামুদ্রিক মাছ
স্যামন বা ওই জাতীয় সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ এবং ভিটামিন ডি থাকে। এই দুটিও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।