হোয়াইটওয়াশ এড়াতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২১ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। যেই রান এই মাঠে দলীয় সর্বোচ্চ। যেই রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই ক্যারিবীয়দের। স্কোরবোর্ডের পুঁজি বাংলাদেশকে স্বস্তি দিলেও শেষ পর্যন্ত ফল আসেনি পক্ষে। বাংলাদেশকে ২৫ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাই হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এমন হারে কাঠগড়ায় বোলাররা। স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত পুঁজি থাকার পরও ম্যাচটা যে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এই অবস্থায় আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে তাই ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কেননা, এখান থেকে শিক্ষা না নিলে যে খারাপ কিছুই অপেক্ষা করে আছে বাংলাদেশের সামনে। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও জানিয়েছেন সে কথায়।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে বড় পুঁজি নিয়েও হারের পেছনে বোলারদের দায় দেখছেন মিরাজ। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে না পারাকে দেখছেন হারের কারণ হিসেবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলারদের জন্য খুব কঠিন দিন ছিল। ব্যাটাররা ভালো করেছে। আমরা ভালো জুটি পেয়েছি। সৌম্য, জাকের ও মাহমুদউল্লাহ- সবাই ভালো করেছে। বোলিংয়ে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারিনি। এটি আমাদের জন্য সমস্যার ছিল।’
তবে ম্যাচ হারলেও মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা করেছেন মিরাজ। সিরিজে টানা তিন ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘এই সিরিজে আমরা কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে মিস করছি। আমাকে চার ব্যাট করার দায়িত্ব নিতে হয়েছে। মাহমুদুল্লাহ খুব ভালো করেছেন। এই সিরিজে তিনি তিনটি ফিফটি পেয়েছেন। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো মুহূর্ত। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। এই সিরিজে তরুণদের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা করতে পারিনি।’
সামনেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। হাতে খুব বেশি সময়ও হাতে নেই বাংলাদেশের। বৈশ্বিক সেই টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে এই সিরিজে করা ভুলগুলো দ্রুতই শুধরে ফেলতে চান মিরাজ। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজের পরে, আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। আমরা জানি আমাদের কী উন্নতি করতে হবে। আশা করি, আমরা বুঝতে পেরেছি কীভাবে সেই জিনিসগুলিকে উন্নত করে সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে।’