কেরানীগঞ্জের হযরতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিনের (ঘোড়া প্রতীক) সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে ভোট গণনা শেষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হযরতপুর ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন।কিন্তু মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগ নেতা (বর্তমান চেয়ারম্যান) আনোয়ার হোসেন আয়নাল।দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন।
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় তাকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
রোববার ভোটগ্রহণ শেষে নৌকার প্রার্থী সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়।কিন্তু পরাজয় মেনে না নিয়ে কারচুপির অভিযোগে হযরতপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখে আলাউদ্দিন সমর্থকেরা।
র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার এম ফখরুল হাসান জানান, সরকারি কর্মকর্তাসহ আটকেপড়াদের উদ্ধারে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ হযরতপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছে। এ সময় আলাউদ্দিনের সমর্থকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধা দেন। সেই বাধা পেরিয়ে সড়কে আসলে তারা সড়কে বালির ট্রাক দিয়ে বেরিকেট দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আলাউদ্দিনের সমর্থকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আত্মরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় দুই শতাধিক রাউন্ড গুলি করার পর তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে আটকেপড়া অফিসার ও ব্যালট পেপার নিয়ে উপজেলা সদরে তারা আসতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও আলাউদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই পক্ষের অবিরাম গোলাগুলিতে হযরতপুর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।ওই সময় চরম আতংকিত হয়ে পড়েন সাধারণ লোকজন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস ছালাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।