শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

কেন জানি মনে হয়, আমি আর বাচঁবো না: শামীম ওসমান

  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৩.৩৬ এএম
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমাকে মন্ত্রী হইতে বলা হইসে, আমি হইনি। আমি মানুষকে ভালোবাসি, আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে আমি এটাই শিখেছি। এই ফতুল্লা অঞ্চলে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ আমরা করে ফেলেছি। আমরা প্রাইমারী স্কুল করেছি ১২৫কোটি টাকার উপরে, হাই স্কুল করেছি ২০০শ কোটি টাকার উপরে। পাগলের মতো কাজ করেছি, কারণ আল্লাহকে খুশি করাতে চাই।

 

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কাশীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয়দের নিয়ে আয়োজিত এক নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার নাম কি রাজনীতি? কেন রে ভাই। আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন না। আমাদের ৫৪জন মানুষকে এই পর্যন্ত নিজের হাত দিয়ে দাফন করতে হয়েছে। কই, আমরা তো প্রতিশোধ নেই না। আমার ভাই সেলিম ওসমান, তখন সে রাজনীতি করতো না। তার প্যাক্টরির ভেতর ঢুকে ৩০০শ গরুরর দুধের বান কেটে দেওয়া হলো। ভাইকে গ্রেফতার করা হলো। ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি মনে করি ওদের নাই করে দিবো, পুলিশ-প্রশাসন ওদের পক্ষে থাকবে; তার পরেও কিচ্ছু করতে পারবে না। কিন্তু আমি এটা করবো না।

 

তিনি বলেন, আমরা ৮৫ ভাগ কাজ শেষে করেছি, আমি বাকি কাজ গুলো শেষ করতে চাই। আমি এখন চাচ্ছি,নারায়ণগঞ্জের মানুষের যাতে আর ঢাকায় যেতে না হয়। আমাদের নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল হবে। আমরা একটা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই।

 

তিনি আরও বলেন, আপনি কি মনে করেন, আওয়ামী লীগের সব ভালো লোক? না। এদলেও খারাপ লোক আছে। অন্য দলে সব খারাপ লোক? নো। সেখানেও ভালো লোক আছে। আমার জীবনের শেষ বয়স চলছে। প্রতিদিন আমার কেন জানি মনে হয়, আমি আর বাচঁবো না।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort