বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, অপেক্ষা বরের । বর এলেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে পাঠানো হবে শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু সেই মুহূর্তে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হাজির হলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। পুলিশ আসার খবরে বর পক্ষ আর আসেনি। বিয়েও হয়নি। শ্বশুর বাড়ির পরিবর্তে সেই কিশোরীকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর দায়িত্ব ছিলেন ওসি। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্ব) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নাহ, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার, চুয়াডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইমরান ।
ওসি বলেন, স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকারের মাধ্যমে জানতে পারি, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর হচ্ছে। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ আমরা বিয়ে বাড়িতে হাজির হই। অভিভাবককে বুঝিয়ে বলার পর তিনি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মেয়ের পড়াশোনা চালানোর অক্ষমতা প্রকাশ করেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘আমরা কিশোরীর পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবেই কিশোরীর দুই বছরের স্কুল ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধ করে দেই। এছাড়া তার প্রয়েজনীয় যাবতীয় শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চেয়েছিল পরিবার। আমরা স্কুলে পাঠিয়ে তার তার নতুন জীবন শুরু করলাম।’