শরীয়তপুরে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম করা কাকলি নামে সেই মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কাকলি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড চরপালং এলাকার নসিম উদ্দিনের মেয়ে।
তিন ভাই-বোনের মধ্যে কাকলি সবার ছোট। দুই ভাই মোটরসাইকেলের গ্যারেজ চালান। বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন। আগামীকাল সোমবার (২১ মার্চ) কাকলির বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কাকলির বাড়িতে ঢুকে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন জাহিদুল নামে এক যুবক। কাকলির চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় জাহিদুলকে আটক করে পিটুনি দেন লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কাকলির অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার (২০ মার্চ) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জাগির গ্রামের বাসিন্দা। ১০ বছর ধরে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কারাভোগ গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে তার পরিবার।
থানা সূত্রে জানা যায়, কাকলি ও জাহিদুল শরীয়তপুর আলিয়া মাদরাসার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। জাহিদুল তাকে রাস্তা-ঘাটে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। কিছুদিন আগে কাকলিকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন জাহিদুল। তবে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কাকলির পরিবার। পরে কাকলিকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় পরিবার।
কাকলির ভাই ফারুক মাতবর বলেন, কাকলি আমাদের আদরের ছোট বোন। তার বিয়েতে অনেক আয়োজন করেছি। কিন্তু বখাটে জাহিদুল আমার বোনকে কুপিয়ে মেরে ফেলল। আমরা তার বিচার চাই।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার পর কাকলির ভাই একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় জাহিদুলকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। জাহিদুল বর্তমানে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।