রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের শেষ সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এখন পর্যন্ত মেয়র পদে কেউই মনোনয়নপত্র নেননি। ২৩মে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান কাউন্সিলরদের পাশপাশি একই ওয়ার্ডে তিন চারজন করে মনোনয়ন নিয়েছেন। আবার অনেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। গণসংযোগও করছেন। এখনই যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে বলা যায় কাউন্সিলর পদ নিয়ে ছড়াছড়ি চলছে। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগেরই একাধিক প্রার্থী রয়েছে। এদের সবাই মেয়র লিটনের অনুসারী বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের কৌশল হলো প্রথমে বর্তমান মেয়র লিটনের পক্ষ নিয়ে দোয়া চাইছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যেই বাড়ছে রেশারেশি। লিটনের নির্বাচন নিয়ে কাজ করা কয়েকজন বলেন কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে তারা ভাবছেন না। যারা তার নাম ভাঙ্গাচ্ছেন তারা ভাল করছেন না।
এদিকে লিটন প্রতিদিনই বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও সমাবেশ করছেন। তার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন। আগামীতে কি করবেন তাও বলছেন। তাদের সমর্থনও কামনা করছেন। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে রাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৮৩ জন প্র্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। এরমধ্যে অনেকেই মনোনয়নপত্র উত্তোলনের পর জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যৗল্প মোট ৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। এরমধ্যে সংরক্ষিত আসনে ২৪ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে রয়েছে ৫৯ জন। এরমধ্যে বেশ কিছু কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলনের পর জমা দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে কোনো মনোনয়নপত্র উত্তোলন হয়নি। গত ২৭ এপ্রিল থেকে শনিবার পর্যন্ত ৩০৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।
তিনি বলেন, প্রার্থীর যেকোনো সময় এসে মনোয়নপত্র উত্তোলন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীদের মানতে হবে নির্বাচনী আচারণবিধি। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করা যাবে না। গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়।
এবার রসিক নির্বাচনে ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন ভোটার। এরমধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে ৩০ হাজার ১৫৭ জন তরুণ-তরুণী প্রথম ভোট দিবেন। গত বছর ভোটার সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ২২ হাজার। এবার সম্ভাব্য ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের ১১৭৩ টি কক্ষে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২১ মে নমিনেশ দেয়া শুরু হবে। ২৩ মে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময়। এছাড়া ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।