ভারতের ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং সাড়ে তিন শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতের বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি। রেলওয়ে সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নিহত ও আহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০-১২টি বগি বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলো ছিটকে পড়ে উল্টো দিকের লাইনে। কিছু ক্ষণ পর উল্টো দিকের লাইন দিয়ে আসে হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে পড়া বগির ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩ থেকে ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
ওড়িশার মূখ্য সচিব প্রদীপ জেনা সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন শতাধিক যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে তিনি এনডিটিভিকে বলেছিলেন, দুর্ঘটনায় তৃতীয় আরেকটি ট্রেন জড়িত ছিল। দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও একটি মালগাড়ি। প্রায় ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স উপস্থিত হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক বেশি মনে হচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে নিতে বিপুল সংখ্যক বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের সন্ধানে লাইনচ্যুত উল্টেপড়া ট্রেনের বগি বেয়ে উঠছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নভীন পাটনায়েক বলেছেন, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
টুইটারে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। আক্রান্তদের সব সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
ওড়িশার ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে উদ্ধারকর্মীদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। টুইটারে তিনি আরও জানিয়েছেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য সরকারের দল ও বিমানবাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।