নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সতেরটি ওয়ার্ডে গঠিত কমিটিকে পকেট কমিটি ও হিন্দু মুসলিম রক্ষা কমিটি আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছে পদবঞ্চিত ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় ২২নং ওয়ার্ডের বন্দর শাহী মসজিদস্থ ফাযিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন ,আমরা কোন রাজনৈতিক তাবেদার না কোন তাবেদারী আমরা পছন্দও করিনা। আজকে মহানগরের কমিটিতে যাদেরকে দেয়া হয়েছে তারা অথর্ব, লুলা, লেংড়া, প্রতিবন্ধি। আমরা এই পকেট কমিটি মানিনা।
এগুলো আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড কমিটি নয় তারা হিন্দু মুসলিম রক্ষা কমিটি করেছে। আমাদের জেলা আওয়ামীলীগে সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিন হায়াৎ আইভীর সঙ্গে একাত্নতা প্রকাশ করছি।
তাকে ধন্যবাদ জানাই তিনি গতকাল আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন। আমরা বন্দরের নেতৃবৃন্দও আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম আপনি বন্দরে আইসেন তারপর টের পাইবেন। আপনি চরম অপমান হবেন।
২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহ আলমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা।
বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হাসান আরিফের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিয়ান আহাম্মেদ, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল হাসান মৃধা, বন্দর পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম আমিরুল ইসলাম, ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী আলমগীর হোসেন, ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোকাদ্দেস আলী আঙ্গুর, কুদ্দুস মৃধা, ২০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, খোকন সাহা ২০নং ওয়ার্ডে মাদকসেবীকে সেক্রেটারী করেছে সারাদিন রেল লাইনে পড়ে থেকে চাঁদাবাজী করে আর নেশার রাজ্য চালায়। আপনারা মহানগর আওয়ামীলীগকে বাপ-দাদার সম্পত্তি আর এই সম্পত্তির অংশীদার আপনারা দুইভাই এই ভেবে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বাহ। কি আপনাদের স্বাধীনতা। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বাসের মর্যাদা নষ্ট করেছেন।
এইসব কুলি, কামার, চোর বাটপার, মাদক ব্যবসায়ী, নাইট গার্ড আর রিকশা ওয়ালার বউ ভাগিয়ে নেয়া লোকজনকে নিয়ে কমিটির করার জন্য দায়িত্ব দেয়নি। আমরা আমাদের নেতা একেএম শামীম ওসমানের সঙ্গে বসবো নেতা কি করে দেখবো প্রয়োজনে নেত্রী পর্যন্ত যাবো। তবু আপনাদেরকে দেখে নিবো।