চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার কয়েক ঘণ্টা পরই ৪৩ বছর বয়সী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও একটি মেডিকেল দাতব্য সংস্থার পরিচালক ইলিয়া ফমিন্টসেভ প্রতিবাদ করতে মস্কোর রাস্তায় নেমেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করে ২০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইউক্রেনে মস্কোর ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আরও অনেকের মতো ইলিয়া ফমিন্টসেভ ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় রাশিয়া ছাড়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
যুদ্ধ বিরোধী রুশ নাগরিকরা তুরস্ক, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়ায় চলে গেলেও একজন বৃদ্ধ রোগীর পরামর্শে ইলিয়া তার ইহুদি বংশের প্রমাণের নথি সংগ্রহ করতে শুরু করেন এবং ইসরাইলি কনস্যুলেটে যোগাযোগ করেন।
তেল আবিবে নিজের নতুন বাড়িতে বসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি ইহুদি বংশোদ্ভূত এবং আমার জন্য দেশত্যাগ করার একমাত্র বিকল্প ছিল ইসরাইল।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ দেশেই নিজের বৈধ অবস্থান তৈরি করা অসম্ভব। সেখানে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বা ব্যবসা করাও অসম্ভব। ইসরাইল আমার কাছে একমাত্র বিকল্প ছিল এবং আমি প্রত্যাবাসন কর্মসূচির সুবিধা নিয়েছিলাম।
রাশিয়া থেকে ইহুদিদের দেশত্যাগের একটি নতুন ঢেউয়ের অংশ ইলিয়া। যদিও আগের প্রাক-বিপ্লবী এবং সোভিয়েত-পরবর্তী দেশত্যাগের মতো বিপুল সংখ্যক ইহুদি এই দফায় রাশিয়া ছাড়ছেন না। সে সময় হাজার হাজার ইহুদি রাশিয়া থেকে ইসরাইল পাড়ি জমিয়েছিল।
ইসরাইলি সরকারের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ২০ হাজার ২৪৬ জন রাশিয়ান ইসরাইলে এসেছে। অন্যদিকে পুরো ২০১৯ সাল জুড়ে মাত্র ১৫ হাজার ৯৩০ জন রাশিয়ান ইসরাইল এসেছিল বলে জানা গেছে।