হজ ও ওমরা পালনের জন্য ইহরাম আবশ্যক। ইহরাম না পরে মিকাত অতিক্রম করা জায়েজ নয়। ইহরামের সময় পুরুষেরা সেলাইবিহীন পোশাক পড়েন। নারীরা যেকোনো স্বাভাবিক ঢিলেঢালা পোশাক পরবেন। তাদের ইহরামের জন্য ভিন্ন পোশাক নেই।
হজ-ওমরা পালনকারী ব্যক্তি ইহরামের মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের ক্ষৌর কর্যাদি, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাই করা পোশাক পরিধান এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয়কে হারাম করে নেন।
ইহরাম অবস্থায় অনেক কাজই নিষিদ্ধ। তবে ইহরাম অবস্থায় কোনো ব্যক্তির ইহরামের পোশাক পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিলে তিনি তা করতে পারবেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূল সা. ইহরাম অবস্থায় ‘তানয়িম’ নামক স্থানে কাপড় পরিবর্তন করেছিলেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ১৫০১০)
বিখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম নাখাঈ রহ. বলেন, ইহরাম গ্রহণকারী ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর যখন ইচ্ছা তা পরিবর্তন করতে পারবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ১৫০১১)
ইহরাম বাঁধার নিয়ম
হজ অথবা ওমরার নিয়তে তালবিয়া পড়লেই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে ইহরাম বাঁধার সুন্নত পদ্ধতি হলো—
>> মোচ, নখ এবং পরিষ্কার করতে হয় শরীরের এমন লোম চেঁছে বা কেটে পরিষ্কার করা।
>> ইহরামের উদ্দেশ্যে ভালোভাবে গোসল করা। গোসল সম্ভব না হলে অজু করে নেওয়া। ঋতুমতী মহিলার জন্য ইহরামের আগে গোসল করা মুস্তাহাব।
>> পুরুষেরা দুটি নতুন বা সোদা সাদা চাদর নিবে। একটি লুঙ্গির মতো করে পরবে। অপরটি চাদর হিসাবে ব্যবহার করবে।
কালো বা অন্য কোনো শরীয়তসিদ্ধ রং এর কাপড় পরিধান করাও জায়েয। পায়ের পাতার উপরের উঁচু অংশ খোলা থাকে এমন চপ্পল বা স্যান্ডেল পরা যাবে।
>. মহিলাগণ স্বাভাবিক কাপড় পরবে। তারা ইহরাম অবস্থায় জুতা মোজা ব্যবহার করতে পারবে।
>> ইহরাম বাঁধার আগে খালি শরীরে আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব। শরীরের আতর ও ঘ্রান ইহরাম বাধার পরে বাকী থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই।
>>ইহরামের কাপড়ে আতর/সুগন্ধি লাগাবে না। কেননা ইহরামের কাপড়ে এভাবে আতর বা সুগন্ধি লাগানো নিষিদ্ধ যা ইহরামের পরও লেগে থাকে।
>> (মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে) ইহরাম বাঁধার পূর্বে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া ভালো।