রুদ্রবার্তা২৪.নেট: হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় একটি ইটভাটায় অভিযান চালানোর সময়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের টিমের উপরে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ি ভাঙচুর করে। শ্রমিকদের হামলায় গাড়ির চালক মো. আরমান ও একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ এপ্রিল) ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ মার্চ হাইকোর্ট ডিভিশনের সকল অবৈধ ইটভাটা ভাঙ্গার আদেশের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ইটভাটাসমূহে অভিযান চালাচ্ছে নারায়য়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। ১৭ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে ফতুল্লার মুসলিমনগরের জাকির হোসেনের মালিকানাধীন মেসার্স বক্তাবলী ব্রিকস এন্ড মা ট্রেডার্সে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান পরিচালনায় ছিলেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. জেসমিন নাহার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত আরা খানম। আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুজাহিদ ও মো. মোবারক হোসেন। উক্ত ইটভাটা ভাঙ্গার কার্যক্রম চালানোর সময় হঠাৎ করেই উত্তেজিত শ্রমিকরা গাড়ি ঘেরাও করে এবং অভিযানে বাধা প্রদান করতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা গাড়িতে ইট ছুড়তে শুরু করে এবং গাড়ি ভাংচুর করে। হামলায় গাড়ির ড্রাইভার মো. আরমান ও পুলিশ সদস্য আহত হয়।
মোবাইল কোর্টে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বক্তাবলী ব্রীক ফিল্ড এন্ড মা ট্রেডার্স ইট ভাটার মালিক জাকির হোসেন বলেন, ইট ভাটা পরিচালনার জন্য বৈধ সকল কাজগপত্র আমার আছে। এছাড়া স¤প্রতি জেলা প্রশাসকের অনুমতির জন্য একটি আবেদন করেছি। সেটি এখনো পাইনি। তাছাড়া আমারসহ আশপাশের আরও ২৩টি ইট ভাটা পরিচালনার জন্য মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছে। মহামান্য আদালত ১৬ মার্চ আমাদের কাগজপত্র তৈরী করার জন্য তিন মাসের সময় দিয়েছে। তবে এর আগেই বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদপ্তরের, কল কারখানার, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নিয়েছি। একই সময়ের মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেট লাইসেন্সও নিয়েছি।
তিনি আরো জানান, মোবাইল কোর্ট এসে আমার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখানোর সময় দেইনি। আমি এ ইট ভাটা চালাতে গিয়ে বিপুল পরিমান ঋণগ্রস্থ হয়েছি। আমার ধারণা কোন একটি পক্ষ মোবাইল কোর্টকে ভূল তথ্য দিয়ে আমার ইট ভাটায় ভাংচুর করিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
ভ্রাম্যমান আদালতে অংশ নেয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাম্মত জেসমিন নাহার এ ব্যাপারে বলেন, আমাদের একটি গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। এছাড়া কেউ আহত হয়নি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিস্তারিত জানাবো।