ভারতে ২০২৪-এর নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ডাকে তার বাড়িতে চা চক্রে যোগ দেন মমতা। ছিলেন সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীও। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে সোনিয়াজির সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। (বিজেপি) বিরোধীদের ঐক্য হওয়াটা খুবই জরুরি। বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পেগাসাস ইস্যু নিয়েও কথা বলেছি।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়- এই পরিস্থিতিতে বড় হয়ে উঠেছে বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বের বিষয়টি। কে হবেন প্রধান বিরোধী মুখ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জ্যোতিষী নই।
এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। অন্য কেউ জোটের নেতৃত্ব দিলে আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি নেতা নই, ক্যাডার হয়েই কাজ করে যাব।’
উল্লেখ্য, মোদি-অমিত শাহ’র প্রচার ক্যারিশমা রুখে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। যাকে মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়ের একক সাফল্য হিসেবেই তুলে ধরছে তৃণমূল। তাই দেশব্যাপী মোদি বিরোধী মুখ হিসেবে মমতাকেই তুলে ধরতে তৎপর দলটি। ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘দিদি’কেই চাই বলে সরব রাজ্যের শাসক দল। বুধবার দলীয় সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক হয়। সে বৈঠকে মমতাকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চাই বলে ঘোষণা করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই মমতা সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে যান।