নারায়ণগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে এসে মনে হচ্ছে আমি একটি চরম নিরাপদ এলাকায় এসেছি। আসার আগে অনেকে বলেছে নারায়ণগঞ্জ একটি ঝামেলার জায়গা। কিন্তু আসলে তা নয়। যেখানে সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমান সাহেব এর মত মানুষ আছে সেখানে কাজ করার মত আর ভাল জায়গা হয় না।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবনের মিলনায়তনে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমন ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করাসহ ভবিষ্যত করনীয় নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সব কাজ পুলিশ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে হয় না। আমি সকলকে নিয়ে আপনাদের সহযোগীতায় কাজ করে যেতে চাই। আশা রাখি নারায়ণগঞ্জের জন্য ভাল কিছু করতে পারবো। আমি কাজ করতে এসেছি ডিসি গিরি করতে না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে কাজের জন্য পাঠিয়েছেন। দেশে আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ভ্রাম্যমান টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করেছি। আশা করছি এই প্রক্রিয়াটি সারাদেশ অনুসরণ করবে। দেশের মধ্যে আমরাই সর্বপ্রথম শতভাগ টিকা দানের আওতায় আসবো।
মত বিনিময় সভা আরও উপস্থিত ছিলেন, মতবিনিয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগহ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা ইসলাম শান্তা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেন শাহ, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডল, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, শিউলি নওশেদ, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ গাজী সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজর আলী, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।