‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মিছিল মিটিং করলে পূর্বানুমতি লাগে। জেলা প্রশাসন থেকে এই নির্দেশনা আমাদের দেয়া আছে। কিন্তু আজ কোন অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করে। আমরা তাদের বার বার রিকুয়েস্ট করে বলেছি যে, আপনারা কোন অনুমতি নেননি’।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলাকলীন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর সময় এমনটা জানান।
২নং রেলগেট পুলিশ বক্সেও সামনে পুলিশ সুপার আরও জানান, আমরা তাদের বার বার রিকুয়েস্ট করে বলেছি যে, আপনারা কোন অনুমতি নেননি। আপনারা যদি সমাবেশ করতে চান তাহলে আপনাদের পার্টি অফিস আছে সেখানে করেন বা যেখানে আপনাদের ভালো হবে। কিন্তু রাস্তা অবরোধ করা যাবে না, অন্তত এই ব্যস্ততম শহরে করা যাবে না। কিন্তু তারা আমাদের কথা প্রত্যাখান করে আমাদের উপর ইট পাটকেল মারা শুরু করে, ককটেল নিক্ষেপ করেন। তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বৃষ্টির মতো ইট মেরেছে। বিভিন্ন অফিস দোকান ভাংচুর করেছে। গণতান্ত্রিক দেশে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব না এবং আমরা আইনগত ভাবে তাদের প্রতিহত করেছি। তারা বিভিন্ন অলিগলি থেকে ককটেল মারার চেষ্টা করেছে। আইনতন ভাবে যেটা করা প্রয়োজন আমরা সেটাই করেছি।
১ সেপ্টেম্বর ছিল বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী। এ উপলক্ষে জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে পূর্ব ঘোষিত র্যালিতে অংশ নিতে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। র্যালি শুরু প্রথমে পুলিশের সাথে নেতাদের তর্কবির্তক হয়। একপর্যায়ে র্যালিটি শুরু হয়ে ২নং রেলগেট আসলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় ও লাঠিচার্জ করে। এতে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপে করে।
এ ঘটনায় একজন নিহত এবং বিএনপির নেতাকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বঙ্গবন্ধু সড়কের সাথে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী সড়ক, আলী আহম্মেদ চুনকা সড়ক, মর্গেন স্কুলের গলি, ২নং রেল গেইটের এলাকার থান কাপড়ের মার্কেটের সামনে কয়েক টিয়ারশেল ও রাউন্ড গুলি করা হয়।