বুড়িগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা। ইতিমধ্যে থানার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীর প্রবল স্রোতে থানার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের সীমানা ভেঙে অনেকটা ভিতরে ঢুকে পরতে শুরু করেছে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় সরেজমিন দেখা যায়, ফতুল্লা মডেল থানা নদী সংলগ্ন হওয়ায় বুড়িগঙ্গা নদীর স্রোতের বেগে থানার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের দেয়াল এবং বড় বড় কাঠে দিয়ে তৈরী আলগারা ভেঙে গেছে।
আর দু-এক ফুট ভাঙ্গলেই থানা সীমান্তের সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি সীমান্তে কাটাতারে রঙ্গীন নেট দিয়ে সীমানা করা সেটা ও ভেঙ্গে যাবে। এমন কি পুলিশ সদস্যদের জন্য তেরি করা বুড়িগঙ্গা ডাইনিং লাউঞ্জ বা হল সেটা ও ভেঙ্গে যেতে পারে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
জানা যায়, দু বছর পূর্বে প্রথমে নদীর স্রোতে অল্প পরিমান থানার দেয়াল ভাঙলেও পরে আস্তে আস্তে আস্তে পুরো দেয়াল ভেঙে যায়। ফলে সেই ভাঙ্গন রোধে প্রথমে বালুর বস্তা ফেলে এবং বড় বড় কাঠের টুকরো দিয়ে আলগাড়া তৈরী করে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভবপর হয়েছিলো তবে সেই বাধ বা আলগাড়া এবার ভেঙে গিয়ে পুনরায় নদীর তীরবর্তী স্থান ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে থানা ঘেষা সীমান্তে এসে ঠেকছে।
যেকোন সময় বড় ধরনের ভাঙ্গনের কবলে পরতে পারে বলা চলে ভিতরে প্রবেশ করছে নদীর ভাঙ্গন। বড় ধরনের ঝড় বা ঘূনিঝড় হলে নদীর স্রোতের বেগ বেড়ে গেলে থানায় আরো ভয়াবহ ভাঙ্গনের সম্ভাবনা আছে। ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, থানার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত কোনে নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে রঙ্গীন কাটাতারের সীমানা এবং বসার স্থান সহ বাগান এমনকি ডাইনিং লাউঞ্জ। আর এই ভাঙ্গন রোধ সহ সীমান্ত তৈরীতে বহু টাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও্ বলেন, বিষয়টি টেম্পোরালি সমস্যা হিসেবে না দেখে পরিকল্পনামাফিক কাজ করার লক্ষে ইতিমধ্যে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে তা সমাধানে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।