ব্যক্তিগত ২১ রানে একবার জীবন পেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বন্ধু মেহেদি হাসান মিরাজ জীবন ফিরে পেয়েছেন দুবার। তাদের জুটি ভাঙতে স্বাগতিক আফগানিস্তান নষ্ট করল দুটো রিভিউ। তবু ম্যাচটা ফসকায়নি স্বাগতিকরা। সফরকারী ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৯২ রানে জয় পেয়েছে রশিদ-নবিরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন নবি। তা ছাড়া ফিফটি পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
জবাবে খেলতে নেমে ৩৪ ওভার ৩ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন শান্ত। আফগানিস্তানের হয়ে একাই ৬ উইকেট শিকার করেছেন গাজনাফার।
লিটন দাস না থাকায় ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের সঙ্গে অটো চয়েজ ছিলেন তানজিদ তামিম। তবে ব্যর্থ এই তরুণ ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। আল্লাহ মোহাম্মদ গাজনাফারের ক্যারম বলে বোল্ড হয়েছেন। তার আগে তানজিদের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ রান। তানজিদ দ্রুত ফিরলেও আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৫৩ রান। সৌম্য ৩৩ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে ততক্ষণে শক্ত ভিত পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের খেলা সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাজে সময় পার করেছেন তিনি। তবে ৭ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে আবারও রানের দেখা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬৮ বলে ৪৭ রান করেছেন শান্ত। অল্পের জন্য ফিফটি হাতছাড়া করেছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফিরিয়ে ৫৫ রানের জুটি ভেঙেছেন নবি। শান্ত যখন সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২০ রান। তখনও ম্যাচে স্পষ্ট ফেবারিট বাংলাদেশ। অথচ সেখান থেকেই যেন ধস নামে টাইগারদের ইনিংসে। এরপর আর মাত্র ২৩ রান যোগ করতেই বাকি ৮ ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। শান্তর পরপরই ফেরেন মেহেদি মিরাজ। চারে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়রাও। শেষদিকে তাসকিন-শরিফুলও দ্রুতই ফিরলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন নবি। তা ছাড়া ফিফটি পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।