
সোনাগাঁ উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ এর বাগবাড়ী বারপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের মেয়ে আওয়ামীলীগের সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। ধিরে ধিরে এলাকার ইউনিয়ন নির্বাচন হইতে শুরু করে চেয়ারম্যান নির্বাচন নিজের অস্তিত্ব জাহির করেন এতে করে মানুষের মনের মাঝে আস্থাভাজন হয়ে উঠেন। পরবর্তিতে তিনি আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে নিজেকে জাহির করেন এবং তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে তাকে বিশ^াস করতে শুরু করেন। উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন দপ্তরে যাওয়া আসা থাকায়œ সরকারী সুবিধার কথা বলে গ্রামবাসীকে উদ্ভদ্ধ করেন এবং বলেন সোনারগাঁ উপজেলা আমার সব দপ্তরেই আমার যোগাযোগ আছে। সব দপ্তরেই সুবিধা ভোগ করার মতো এবং কাজ পাইয়ে দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমার আছে। এই কথা বলে সনমান্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষ থেকে ১০ হইতে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা জানান যে, ঝর্না বেগম কিছু সরকারী কম্বল এনে গ্রামবাসীকে উপহার হিসেবে দেন এতে করে গ্রামবাসীর আস্থা অর্জন করেন। এর পর ধেকে ঝর্না বেগমের কাছে গর্ভবতী ভাতা ও বয়স্ক ভাতা,টিসিবির কার্ড,গভীর নলকুপ ও পাকা ঘর নির্মান এই রকম আরো অসংখ্য সুবিধা লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের পরে সে নানা রকমের তালবাহানা ও গরিমসি করে এবং সে উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের উপর দায়ভার চাপিয়ে দেয়। ঝর্না বেগম বলে সরকার নেই,তাই আমার এখন কি করার থাকতে পারে। বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা পরিশোধ করবে বলে বেশ কিছুদিন গাঁ ঢাকা দিয়েছিলেন। বর্তমানে সে বিএনপির কর্মী হিসেবে নিজেকে দাবি করে এবং বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজেকে সক্রিয় ভাবে উপস্থাপন করে বিএনপির নেতৃ হিসাবে। এমতাবস্থা ভুক্তভোগীরা বারবার তাকে টাকার জন্য চাপ দিলে সে এরিয়ে যায়। বর্তমানে ঝর্না বেগম সোনারগাঁয়ে একজন প্রতারক হিসেবে মুর্তিমার আতঙ্ক। সোরনাগাঁও আইন শৃঙ্খলা বাহীনি এবং সরকারী দপ্তর গুলো ঝর্না বেগমের বিরুদ্ধে সঠিক কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। ভুক্তভোগীরা একাংশ জানান ঝর্না বেগম বিএনপির কর্মী হিসেবে যেভাবে নিজেকে দাবি করিয়েছে এতে করে ভুক্তভোগীদের থেকে লুটে নেওয়া টাকা পুনঃরুদ্ধার করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে গরিব দুঃখীদের পাওনা টাকা আদায়ের প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি অনতিবিলম্বে ঝর্না বেগমকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হউক।