লাল বলের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছেন এক বছরও হয়নি হাসান মাহমুদের। সাদা বলের ক্রিকেটে দ্যুতি ছড়িয়ে নাম কুড়ানো হাসান টেস্ট দলে নাম লিখিয়েও আলো ছড়াচ্ছেন উজ্জ্বল।
টেস্ট অভিষেকের বছরেই বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়লেন হাসান। গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যাত্রা শুরু করে আলজারি জোসেফকে ফেরানো পর্যন্ত ১৩ ইনিংসে হাসানের শিকার এখন পর্যন্ত ২৫টি। ইনিংসে ২ বার পেয়েছেন ৫ বা এর বেশি উইকেট।
২০০৮ সালে ১৪ ইনিংসে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন। এ ছাড়া পেসারদের মধ্যে অন্তত ২০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে আর দুজনের- ইবাদত হোসেন (২০২২ সালে ২১ উইকেট) ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ (২০২২ সালে ২০ উইকেট)।
অ্যান্টিগায় উইন্ডিজের বিপক্ষে শনিবার টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথম দিনে দুর্দান্ত বোলিং করে কোনো উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় দিনের প্রথম ওভারেই জশুয়া ডি সিলভাকে ফেরান হাসান। ১৪ রান করা জশুকে ফেরান এলবিডব্লু করে। এর পরের ওভার করতে এসে আবারও উইকেট নেন হাসান। এবারের শিকার আলজারি জোসেফ। স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ তোলেন আলজারি জোসেফ। জাকির হাসান ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ৪ রানে বিদায় করেন জোসেফকে।
প্রথম দিনের প্রথম দুই সেশনে দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। দুই পাশ থেকে পেসারদের আক্রমণে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে স্পিনারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের চাকায় লাগাম টেনেছিল। তবে শেষ সেশনে তালগোল পাকানো পারফরম্যান্সে এলোমেলো করে দেয় দিনটা। এদিন স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিন শেষ করে ক্যারিবীয়রা। অথচ প্রথম সেশনে তাদের স্কোরবোর্ডে রান ছিল ২ উইকেটে ৫০। দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেটে ১১৬, মানে ৬৬ রান যোগ হয়। বাংলাদেশের ‘যন্ত্রণার’ শেষ সেশনেই এসেছে ১৩৪ রান।
দ্বিতিয় দিনের প্রথম সেশনে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে ৯৭ রান করেন মিকাইল লুইস ও ৯০ রান আসে আলিক অ্যাথাঞ্জের ব্যাটে। তারা দুজনেই ফেরেন প্রথম দিন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও হাসান। একটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।