নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় সপ্তাহে প্রতি সোমবার অনুমোদনহিন একটি হাট চলমান রয়েছে।
ডাইংক এলাকার মৃত: আব্দুল লতিফের ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ দোলন (৪৮) এবং একই এলাকার মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কিশোরগ্যাংদের নিয়ে পরিচালনা করা হয় এ হাট।
এই হাটকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের অপীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। অত্র এলাকায় রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ। হাট চলাকালীন সময় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কিশোরগ্যাং দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি মসজিদে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের চলাচলে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দোলনগংরা সম্প্রতি স্থানীয় এলাকার এক ব্যবসায়ীর নিকট দুই লাক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় চলতি বছরের গত ২রা মার্চ ঐ ব্যবসায়ী বাদি হয়ে একটি চাদাঁবাজির মামলা দায়ের করেন। তার পেক্ষিতে ৬ই জুন সন্ত্রাসী দোলনকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা জানান, আমরা এ হাটটির বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এ হাটের কারণে পাশে থাকা মসজিদের মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারে না, পাশে থাকা একটি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা কোচিং খাওয়ার সময় কিশোর গ্যাং দ্বারা ইভটিজিং এর শিকার হয়। শুধু তাই নয় এই হাটে মাদকের ব্যবসা করা হয়। হাট বসলে এলাকার মা-বোনরা এ হাটে কেনাকাটা করতে আসে কিন্তু তারা ওই হাটটিতে এসে ইভটিজিং এর শিকার হয়। হাটটি পরিচালনা করছে স্থানীয় এক সন্ত্রাসী দোলন শুধু তাই নয় এই সন্ত্রাসী সাথে কিশোরগ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীরাও জরিত রয়েছে। এই হাটটির কারণে যেকোনো সময় এখানে খুন খারাপের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অবৈধ হাটের বিষয় জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, হাটের এই বিষয়টি আমরা অবগত নই, কোন ধরনের সাপ্তাহিক-মাসিক-বাৎসরিক হাট বাজার বসাতে গেলে অবশ্যই অনুমতির প্রয়োজন হয় এবং সেটির উপরে টেন্ডার হয়। সেই টেন্ডারে যিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হবেন ওই হাটটি পরিচালনা করতে পারবে। যেহেতু এ বিষয়টি আমরা জানতে পারেছি সে ক্ষেত্রে আমরা প্রয়োজনীও ব্যবস্থা গ্রহণ করব।