কলকারখানা প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তে কাজে যোগ দিলো প্যারাডাইজ কেবলসের ২৬৫ জন শ্রমিক। গত ৪ দিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিযে অবৈধ লে অফের বিরুদ্ধে কারখানার সামনে প্রধান গেইটের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরবর্তিতে ৭ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা প্রতিষ্ঠানের ডি আইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । যার পেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ত্রিপক্ষিয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কলকারখানা প্রতিষ্ঠানের জেষ্ঠ কর্মকর্তা ওমর ফারুকের নেতৃত্বে কর্মকর্তাবৃন্ধ, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ দির্ঘ আলোচনা শেষে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান বিভাগ লে-অফ অবৈধ বলে ঘোষনা দেন এবং শনিবার কারখানাটি সম্পুর্নরুপে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং সকল শ্রমিককে কাজে যোদানের নির্দেশ দেন ।এর পুর্বে গত ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বকেয়া আঠারো মাসের বেতন বাকি রেখে, কারখানার এস বি এস বিল্ডিংয়ের ৬৫ জন শ্রমিককের অনুকুলে লে-অফ নোটিশ প্রদান করেন কারখানা কতৃপক্ষ ।
লে-অফ প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল ৮ টা থেকে কাজে যোগ নাদিয়েই কারখানার প্রধান গেইটের সামনেই বিক্ষোভ করতে থাকেন আড়াইশত শ্রমিক। পরবর্তিতে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের মধ্যস্থতায় কারখানা কতৃপক্ষের সাথে আলোচনায় অংশনেন শ্রমিক নেতৃবৃন্ধ সেখানে শ্রমিক নেতৃবৃন্ধ তাদের বক্তব্যে বলেন আমাদের কারখানার মালিক দির্ঘদিন যাবৎই আমাদেরকে ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন পুর্বেও আমরা ১৮ মাসের বকেয়া বেতন পাওনা রয়েছে। প্রতি মাসেই বেতন নিয়ে ঘুরোঘুরি করেন ওভারটাই নেই ৪ বছর যাবৎ ইনক্রিমেন্ট নেই, বেত বাড়ছেনা অন্যদিকে দ্রব্য-মুল্যেরে দাম বাড়ছে জীবন-জীবিকার ব্যয় বাড়ছে ।আমরা কঠিন সময় পার করছি কারখানা কতৃপক্ষ যদি আমাদের না রাখতে চান তাহলে আমাদেরকে বিদায় করে দিক কিন্তু সমস্যা অন্যদিকে আমাদের দির্গদিনের শ্রম আইনত পাওনাদি প্রদান নাকরেই আমাদেরকে শুন্য হাতে বাড়ী পাঠাতে চায় কিন্তু আমরা কোনভাবেই মালিকের অন্যায় মেনে নেবো না । লে-অফ করতে হলে আমাদের বকেয়া ১৮ মাসের বেতন আমাদেরকে পরিষোধ করতে হবে ।আমাদের নেতৃবৃন্ধের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেই সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে কিন্তু আমাদের সাথে প্রতারনার আশ্রয় নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবো। দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোন সমাধানে পৌছুতে ব্যর্থ হন মালিক-শ্রমিক পক্ষ। পরবর্তিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে চাষারার উপমহাপরিদর্শকের কার্যরলয় চাষাঢ়ায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
কারখানায় প্রবেশের পূর্বে প্যারাডাইজ কেবলস শ্রমিক ইআুনিয়নের সভাপতি মো. রাসেলের সভাপত্বিতে সেখানে শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষের নেতৃত্বে শ্রমিকনেতা ইকবাল হোসেন, শ্রমিক নেতা এম এ শাহিন, প্যারাডাইজ কেবলস শ্রমিক ইউনিয়নের, সাধারন সম্পাদক মো. নাজমুল, সহ সভাপতি মো. সেলিমসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে এ বিজয় সত্যের বিজয় শ্রমিক শ্রেনির বিজয় হয়েছে বলে উল্লেখ্য করেন এবং সকল শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য আহবান জানান এবং মালিকের যেকোন অন্যায় রাজপথেই মোকাবেলা করা হবে বলে অঙ্গিকার করেন।