পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে, সে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণুপরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে তাও দেখতে পাবে। (সূরা জিলজাল, আয়াত : ৬-৮)।
হাশরের ময়দানে মানুষ আল্লাহর ক্রোধ ও জাহান্নামের ভয়ে পেরেশান থাকবে। একটি নেকির জন্য পাগলের মতো ছুটবে। কিন্তু আল্লাহর দয়া ছাড়া কোনো কিছু কাজে আসবে না। কেয়ামতের দিন যখন বান্দার আমলের পাল্লা হালকা হবে আল্লাহতায়ালা তখন ফরজের পর ছোট ছোট নফল আমল অনুসন্ধান করবেন।
শয়তানের প্রবঞ্চনা ও নানা কাজের কারণে যদিও নিয়মিত সুন্নত এবং নফল ইবাদত করতে পারি না। কিন্তু হাদিসে অনেক ছোট ছোট আমলের কথা উল্লেখ আছে যার ফজিলত অনেক বেশি, এমনি আমল আজকে আমরা শিখব। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন; দুটি বাক্য এমন আছে, যা বলা সহজ, কিন্তু আমলের পাল্লায় অনেক ভারী এবং আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। তা হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। (বুখারি ৬৪০৬)।
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেন; যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪)।
প্রিয় পাঠক আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে ফরজের পাশাপাশি নফল ইবাদতের গুরুত্ব বোঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।