রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সোনারগাঁয়ে মাদরাসার ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করার চেষ্টা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩, ৪.১৪ এএম
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় আলিম (কলেজ) মাদরাসার তালা ভেঙে লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মকবুল হোসাইনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর সিনিয়র আলিম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এ খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি মাহবুবুর রহমান সুমনের নির্দেশে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অত্র মাদরাসার সভাপতি ও সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আবু বকর, সাদিপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল আমিন, মাদরাসার গভর্নি বডির সদস্য মো. আবুল বাশার, মাদরাসার গভর্নি বডির সদস্য মো. সুমন, কোনাবাড়ি কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মনির হোসাইন, আ.লীগ নেতা চাহেল মোল্লা, দলিল লেখক মো. জাওয়াদ, যুবলীগ নেতা নাজমুল প্রমুখ।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে মাদরাসার কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ হয়। এ নিয়োগ অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিকে না জানিয়ে তা তিনি নিজেই চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেজুলেশন করে নেন বলে অভিযোগ উঠে।

 

এরপর থেকেই মাদরাসার অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটিদের মাঝে চলে দ্বন্দ্ব। এর রেশ ধরে ১৮ তারিখে শিক্ষক ও মাদরাসার অধ্যক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটিও হয়। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দুইবার বিচারও করেন।

মঙ্গলবার রাতে চূড়ান্ত বিচার করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আলহাজ আ. রশিদ মোল্লা। পরের দিন মাদরাসার অধ্যক্ষ কিছু বহিরাগত ছেলে নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসলে আবার শুরু হয় গণ্ডগল। এরপর থেকে অধ্যক্ষ মকবুল হোসাইন মাদরাসা ছেড়ে চলে যান।

এ বিষয়ে মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটির সদস্য এবং প্রবীণ আলেম আলহাজ আবু জাফর মো. আতাউল্লাহ বলেন, আমাদের নিয়োগ কমিটিকে না জানিয়েই মাদরাসার অধ্যক্ষ কম্পিটার অপারেটর নিয়োগ দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

 

তিনি চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন, যার ফলে আমাদের জানাননি। এ নিয়ে আমরা বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’র কাছে অভিযোগ করেছি।

তিনি আরও জানান, এরপর থেকে ইউএনও স্যার মাদরাসায় পাহারা দিতে বলে। বুধবার রাতে পাহারা ছিল ৪ জন। পরে তারা সকালে চলে গেলে মাদরাসার অধ্যক্ষের হুকুমে কিছু বহিরাগত গুণ্ডারা লাইব্রেরির তালা ভেঙেছে। যেন ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করা যায়।

এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষকে কয়েকবার ফোন দিলে তা তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, এ কাজ মাদরাসার অধ্যক্ষ করতে পারে। তাঁর অচরণ অনেক খারাপ। আমাদের সাথে প্রায়ই খারাপ আচরণ করেন তিনি। এমনকি অনেক সময় চাকরিচ্যুত করানোরও হুমকি দেন আমাদের।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com